সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডে যখন একের পর এক সিনেমা ব্যর্থ হচ্ছে তখন আঞ্চলিক সিনেমা দর্শকদের মন জয় করছে। সারা ভারতে প্রশংসিত হচ্ছে ‘কান্তারা’র (Kantara) দক্ষিণী সিনেমা। এই সাফল্য পেতে ছবির নায়ক তথা পরিচালক ঋষভ শেট্টিকে চূড়ান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। আবার দৈব কোলা বা বুটা কোলার মতো পবিত্র নাচের দৃশ্য শুটিং করার প্রায় এক মাস আগে থেকে আমিষ খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘কান্তারা’। নেটদুনিয়া মারফত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৬ কোটি টাকা বাজেটের সিনেমাটি প্রায় ৩২৪ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। ২০২২ সালের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমাগুলির (কেজিএফ চ্যাপ্টার ২, RRR, ব্রহ্মাস্ত্র) মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে এই ছবি। ছবির এই সাফল্য নিয়ে কথা বলতে গিয়েই ঋষভ জানান, দৈব কোলা নাচের দৃশ্যটি শুট করতে তাঁর অত্যন্ত কষ্ট হয়েছে। কর্ণাটকের একাংশে এই নাচকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। তাই নাচের দৃশ্য শুট করার ২০ থেকে ৩০ দিন আগে আমিষ খাবার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন ঋষভ।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত বোন, অনুরাগীদের কাছে অর্থসাহায্য চাইলেন অভিনেতা সায়ন ঘোষ]
অভিনেতা-পরিচালক জানান, নাচের পোশাকের ওজন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোগ্রাম ছিল। শুটিংয়ের সময় এই ওজন তাঁকে বয়ে বেড়াতে হত। কিছু খেতে পারতেন না। শুধুমাত্র ডাবের জল খেয়ে থাকতেন তিনি। একেক সময় মনে হত যেন শরীরটা ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু তিনি যদি একবার ক্লান্তিভাব দেখান, তাহলে কলাকুশলীরা উৎসাহ হারাবেন। এই কথা ভেবেই শুটিং চালিয়ে যান ঋষভ।
ছবির একটি দৃশ্যে জ্বলন্ত মশাল দিয়ে ঋষভের চরিত্রের গায়ে আঘাত করা হয়। ঋষভ জানান, ওই দৃশ্য সত্যিই জলন্ত আগুন দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল। যার ফলে অভিনেতা-পরিচালকের সারা পিঠে পোড়া দাগ রয়েছে। তবে সেই সময় নিজের পিঠ নিয়ে নয় ভাল সিনেমা তৈরির কথাই ঋষভ ভেবেছিলেন। যার সুফল এখন তিনি পাচ্ছেন দর্শকদের স্তুতিতে।