সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই তৈরি হতে চলেছে ইতিহাস। চাঁদের আবহাওয়া ঠিক থাকলে ভারতীয় সময় ৬টার একটু পরেই পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে বিক্রম। এই প্রথম কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের এই সাফল্য তৈরি করবে নয়া নজির। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন গোটা বিশ্বই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামতে চাইছে?
কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার লুনা-২৫ ভেঙে পড়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে। সেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই নামতে চাইছিল। এর আগে ২০১৯ সালে ইসরোর চন্দ্রযান ২-ও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার লক্ষ্যেই অভিযান চালিয়েছিল। যদিও কোনও অভিযানই সফল হয়নি। এদিকে আমেরিকা ও চিনও এখানেই নামার পরিকল্পনা করেছে। কেন বারবার দক্ষিণ মেরুই? কেন এখানেই নামতে চাইছে সব দেশ?
[আরও পড়ুন: সেফ ল্যান্ডিং করতে পারবে তো চন্দ্রযান? ‘দুশ্চিন্তার কিচ্ছু নেই’, আত্মবিশ্বাসী ইসরোর বিজ্ঞানীরা]
আসলে চাঁদের (Moon) দক্ষিণ মেরুতে নামার মূল কারণ, ওই অঞ্চলে চান্দ্র বরফের উপস্থিতির সম্ভাবনা। যা ভবিষ্যতে চাঁদে বসবাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ওই অঞ্চলে খননকার্য কিংবা মঙ্গলে অভিযানের রূপরেখাও তৈরি করে দিতে পারে দক্ষিণ মেরু অভিযান।
চাঁদের ছায়াচ্ছন্ন গহ্বরগুলিতে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন নাসা, ইসরো ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা। যদি সত্যিই জল পাওয়া যায় এখানে, তাহলে তা পানীয় জলের প্রয়োজন মেটাবে। ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের বসবাস শুরু করতে গেলে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে। পাশাপাশি জলকে ভেঙে জ্বালানি হাইড্রোজেন ও নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য অক্সিজেনও উৎপাদন করা যাবে। এই সমস্ত কারণেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার লক্ষ্যে কার্যতই শুরু হয়েছে এক মহাকাশ রেস। যে দৌড়ে সবার আগে আপাতত চন্দ্রযানই (Chandryaan 3)। বুধবার বিকেলেই প্রথম দেশ হিসেবে এখানে নামার কৃতিত্ব গড়তে পারে ইসরো। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় দেশের মহাকাশপ্রেমীরা।