সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমান হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) মতো মেসেজিং অ্যাপ ছাড়া জীবন যেন কল্পনাই করা যায় না। হাজার ব্যস্ততার মধ্যে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের আদর্শ মাধ্যম হল এই হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু ভাবুন তো কোনও কারণে সাধের স্মার্টফোনটি খোয়া গেলে কী সমস্যাই না হয়! হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও বদলে ফেলতে হয়। আবার নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। শুধু তাই নয়, আপনার সেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি অন্য কারও হাতেও চলে যেতে পারে। সেটি অন্য কেউ ব্যবহারও করতে পারেন।
কিন্তু পুরনো নম্বরটি হারিয়ে ফেললেও সেই নম্বর ব্যবহার করেই হোয়াটসঅ্যাপ করা সম্ভব। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। সহজ কয়েকটি পদ্ধতি মনে রাখলেই এমন পরিস্থিতিতে পড়লে সমস্যা হবে না। পুরনো নম্বরটিই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি ইউজারদের নতুন করে নম্বর জানানোর কাজও থাকবে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পুরনো নম্বরেই হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে।
[আরও পড়ুন: সাবধান! হুবহু Netflix-এর মতো একটি অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোনে ঢুকছে ম্যালওয়্যার]
১. মোবাইল চুরি হয়ে গেলে প্রথমেই নেটওয়ার্ক পরিষেবা কোম্পানিকে জানিয়ে ফোনটির সিম কার্ডটি লক করান। সিমটি লক হয়ে গেলেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট আর অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
২. এবার একটি নতুন সিম স্মার্টফোনে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ করুন। তাহলে পুরনো নম্বর দিয়েই অ্যাকাউন্টটি অন করা যাবে।
৩. তবে অ্যাকাউন্টটি খোলার আগে পুরনো অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করতে হবে। এর জন্য কোম্পানিকে একটি ই-মেল পাঠাতে হবে। যেখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, আপনার মোবাইলটি চুরি গিয়েছে কিংবা খোলা গিয়েছে। দয়া করে অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভেট করুন। যে নম্বরে অ্যাকাউন্ট ছিল সেই নম্বরটি আন্তর্জাতিক কোড-সহ লিখতে হবে। যেমন ভারতের নম্বর হলে +91 এবং তারপর নিজের ১০ সংখ্যার নম্বর।
[আরও পড়ুন: খোদ জুকারবার্গও সিগন্যাল অ্যাপের ইউজার! নেটদুনিয়ায় ট্রোলড ফেসবুক CEO]
৪. ডিঅ্যাকটিভেট হওয়ার ৩০দিন পর আপনার প্রোফাইল ও মেসেজ অন্যরা দেখতে পাবেন। নম্বরটি পুনরায় অ্যাকটিভ হয়ে গেলে আপনার জমে থাকা মেসেজও নতুন ফোনে চলে আসবে। কিন্তু ৩০দিনের মধ্যে পুরনো নম্বরটি অ্যাকটিভ না করলে সেসব সম্পূর্ণ মুছে যাবে।