shono
Advertisement

ইজরায়েলকে রুখতে যৌথ হামলার ছক? হামাস-ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে বৈঠক হেজবোল্লা প্রধানের

গাজার পাশাপাশি উত্তপ্ত লেবানন সীমান্তও।
Posted: 09:00 PM Oct 25, 2023Updated: 09:13 PM Oct 25, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উনিশ দিন পেরিয়েও জারি রয়েছে প্যালেস্টাইনের হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী বনাম ইজরায়েলের রক্তক্ষয়ী লড়াই। একদিকে আক্রমণ করছে সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস অন্যদিকে লেবানন সীমান্ত থেকে ইহুদি দেশটিতে আক্রমণ শানাচ্ছে শিয়া জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা। এবার গাজায় শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে জয় পাওয়ার লক্ষ্যে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতাদের  সঙ্গে দেখা করলেন হেজবোল্লা প্রধান।  

Advertisement

রয়টার্স সূত্রে খবর, ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের (Lebanon) হেজবোল্লা জঙ্গি সংগঠনের সংবাদ মাধ্যম আল-মানার টিভি জানিয়েছে, বুধবার বেইরুটে হেজবোল্লা প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ বৈঠক করেন হামাসের ডেপুটি চিফ সালেহ আল-আরোরি ও ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালার সঙ্গে। গাজায় শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে কীভাবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জয় অর্জন করা যায় সেই বিষয় আলোচনা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এদিনের বৈঠকের পর যদি হেজবোল্লা (Hezbollah ) ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলো সরাসরি হামাসের সঙ্গে হাত মেলায় তাহলে আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসবে ইজরায়েলের বুকে। 

[আরও পড়ুন: প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা, নির্বাচন কমিশনের কাছে ইমরানকে পেশই করল না পাক সরকার]

উল্লেখ্য, গত সোমবারই হেজবোল্লাকে সংঘাতে না জড়ানোর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। এই মুহুর্তে ইজরায়েলি ফৌজকে উত্তরে লড়াই করতে হচ্ছে লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা ও দক্ষিণে হামাসের সঙ্গে। যা নিয়ে সেনার সঙ্গে আলোচনা করার পর নেতানিয়াহু কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি হেজবোল্লা এই যুদ্ধে শামিল হয় তাহলে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের জন্ম হবে। ফলে এটা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল হবে। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে হেজবোল্লা সংগঠনকে আক্রমণ করব। যার ফলাফল তারা কল্পনাও করতে পারবে না। আর এই আক্রমণ শুধু তাদের জন্য নয় লেবাননের জন্যও ধ্বংসাত্মক হবে।” 

বলে রাখা ভালো, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়লের (Israel) বুকে বেনজির হামলায় চালায় প্যালেস্তিনীয় (Palestine) জঙ্গি সংগঠন হামাস। রয়টার্স সূত্রে খবর, সুন্নি এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে লেবাননের হেজবোল্লা। ইহুদি দেশটির তরফে যুদ্ধ ঘোষণার পর ৯ অক্টোবর থেকে ইজরায়েলি ফৌজের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট এই শিয়া মৌলবাদী দলটির। ওইদিনই আইডিএফ-এর পালটা মারে নিহত হয় তিন হেজবোল্লা যোদ্ধা। যে কারণে, গাজা সীমান্তের পাশাপাশি উত্তপ্ত হয়ে আছে লেবানন সীমান্তও। লেবাননের অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হেজবোল্লা বাহিনীতে রয়েছে লক্ষাধিক যোদ্ধা।

[আরও পড়ুন: দেশে নেই লিঙ্গসাম্য, নারীদের বন্‌ধে শামিল খোদ আইসল্যান্ডের মহিলা প্রধানমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement