সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের (Iran) পর লেবাননের হেজবোল্লা। আবারও শত্রু দেশের মিসাইল আক্রমণের মুখে পড়ল ইজরায়েল। সোমবার গভীর রাতে অন্তত ১২টি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে লেবাননের সংবাদমাধ্যম সূত্রে। তবে ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সেদেশে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কেন হঠাৎ ইজরায়েলে হামলা চালাল লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা? (Hezbollah) সেদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত কয়েকদিনে দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। সেই হামলার পালটা দিতেই সোমবার গভীর রাতে ইজরায়েলি সেনার সদর দপ্তর লক্ষ্য করে ডজনখানেক মিসাইল ছুড়েছে হেজবোল্লা। কাটইউসা রকেট ছোড়া হয়েছে বলেই দাবি লেবাননের সংবাদমাধ্যমের।
[আরও পড়ুন: হামাসের ষড়যন্ত্র ধরতে ব্যর্থ! যুদ্ধের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে ইস্তফা ইজরায়েলি সেনার গোয়েন্দা প্রধানের]
হেজবোল্লার হামলায় অবশ্য কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে ইজরায়েল (Israel)। আইডিএফের তরফে জানানো হয়, লেবানন (Lebanon) থেকে উড়ে আসা অন্তত ৩৫টি রকেট শনাক্ত করেছে তারা। পালটা আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েলি সেনাও। মিসাইল উৎক্ষেপণের এলাকাগুলো চিহ্নিত করে পালটা আঘাত হেনেছে আইডিএফ। উল্লেখ্য, লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবোল্লাকে মূলত পরিচালনা করে ইরান। সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় তেহরানের তরফে। গত অক্টোবর থেকে গাজায় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিকবার ইজরায়েল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হেজবোল্লা। পালটা আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েলও। দুপক্ষের সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত ৩৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে সোমবার হেজবোল্লার হামলার নেপথ্যে ইরানের কতখানি ভূমিকা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ চলতি মাসের শুরু থেকেই একাধিকবার সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে ইরান ও ইজরায়েল। গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলা চালায় আইডিএফ। পালটা ১৩ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের। সেই হামলার জবাবে ১৯ এপ্রিল আবারও মিসাইল ছোড়ে ইজরায়েল। সবমিলিয়ে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে। সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরানের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, একটাও ভুল করলে আরও কড়া জবাব পাবে ইজরায়েল। সেই হুঁশিয়ারির ঠিক পরেই ইরান পোষিত হেজবোল্লার হামলা আইডিএফের সদর দপ্তরে।