সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ফের ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। আরব-ইহুদি সংঘাতকে নয়া মাত্রা দিয়ে এবার লেবাননের জেহাদি সংগঠন হেজবোল্লার সঙ্গে গোপন বৈঠক করল প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। ওই বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল গাজায় ইজরায়েলের (Israel) হামলা।
[আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত গাজা, হামাসের হামলার জবাবে দফায় দফায় বোমাবর্ষণ ইজরায়েলী যুদ্ধবিমানের]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার লেবানন পৌঁছন হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়েহ। এখানে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন ও স্পিকার নাভিহ বেররির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তারপর মঙ্গলবার লেবানিজ জেহাদি সংগঠন হেজবোল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সূত্রের খবর, গাজায় ইজরায়েলী হামলা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। প্যালেস্তাইনের অধিকৃত জমি থেকে ‘ইহুদি হানাদার বাহিনীর উৎখাত’ ও স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন দু’জনেই। বিশ্লেষকদের মতে, গত মে মাসে গাজায় ইজারায়েলের সঙ্গে লড়াইয়ে হামাসকে মদত জুগিয়েছে হেজবোল্লা। এবারও ফের আক্রমণের ছক কষছে তারা। ইজরায়েলী বিমান হানায় গাজায় হামাসের তৈরি দীর্ঘদিনের পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে গিয়েছে। তলানিতে ঠেকেছে সংগঠনটির অস্ত্রভাণ্ডার ও কোষাগার। ফলে হেজবোল্লার কাছে মদত চাইতে গিয়েছেন হানিয়েহ।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে প্যালেস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইজরায়েল। জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলমান। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নেয়। গাজা থেকে হামাসের রকেট হামলার পালটা বিমান হানা চালায় ইজরায়েল। গোটা অঞ্চলটিকে ঘিরে ফেলে ইজরায়েলী ফৌজ। অবরুদ্ধ হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রায় ১১ দিন ধরে হামাস ও ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। অবশেষে মিশরের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল যুযুধান দুই পক্ষ। কিন্তু সেটা আর টিকবে কি না সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের পতন ঘটিয়ে মসনদে বসেছেন নাফতালি বেনেট। কিন্তু গাজায় সেই অর্থে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।