সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ (G-20) সম্মেলন নিয়ে মোহগ্রস্ত নয়াদিল্লি। এতবড় আসর বসানোর চ্যালেঞ্জ, দেশের সম্মান বাড়ানোর আয়োজন, ঝাঁ-চকচকে পরিকাঠামো দেখানোর চেষ্টা। স্বাভাবিকভাবে ‘অস্বস্তিকর’ যা কিছু, সব সরিয়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছে সরকার। রুগ্ণতাকে আড়াল করতে সরানো হয়েছে বস্তি, ফুটপাথের বাজার। সেটা নিয়েই এবার কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
রাহুলের বক্তব্য, ভারতের ‘গরিবি’কে, ভারতের আসল বাস্তবকে আড়াল করার চেষ্টা করছে সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস (Congress) নেতা লিখছেন,”ভারতের সত্যিকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারত সরকার গরিব ভারতবাসী এবং ভারতের পশুদের আড়াল করছে। আমাদের অতিথিদের সামনে এই সত্যিকে আড়াল করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।”
[আরও পড়ুন: চিনা বাঁধে বন্যার মুখে অরুণাচল প্রদেশ, পালটা দিতে ব্যারেজ তৈরির পরিকল্পনা কেন্দ্রের]
আসলে, ভারতের ‘গরিবি’ যাতে বিদেশি অতিথিদের নজরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে, রুগ্ণতাকে আড়াল করতে সবরকম পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। কোনওভাবেই অস্বস্তির কোনও ছবি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেটা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার কড়াকড়িও চোখে পড়ার মতো। বিদেশিদের রুটে পড়া ঝুপড়ি, ফুটপাথের ধারের শ্রমজীবীর দোকান, যা কিছু ম্লান, যা কিছু আধুনিক ঔজ্জ্বল্যের বিপরীত, বেমানান, সেখানেই চলেছে বুলডোজার। সামনে রঙিন কাপড় বা টিনের আড়ালে ঢেকে দেওয়া হয়েছে গরিবি।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, ট্রেনে ওঠার সময় পড়ে দুই পা কাটা গেল ছাত্রীর]
এমনকী সাপখোপ বা হনুমান যাতে কোনওভাবে বিদেশি অতিথিদের নজরে না আসে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আনা হয়েছে সাপুড়ে। দিল্লি পুলিশ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে তাঁরা হনুমান এবং কুকুরের ‘অত্যাচার’ বন্ধ করতে সাহায্য করেন। আর এসবকিছুকেই সত্যি আড়াল করার চেষ্টা হিসাবে দেখছেন রাহুল গান্ধী।