সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় সড়ক ধরে মাইলের পর মাইল গাড়ি চালাচ্ছেন। খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। খেলেই তো হল না, ভাল মানের খাবারও তা চাই। দেশের জাতীয় সড়কগুলির পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এক ডজন ধাবার ঠিকানা রইল আপনাদের জন্য। অবশ্যই যারা একটু বেছে খেতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্যই।
[শুধু এক কামড়? তাতেও কিন্তু ওজন বাড়ে!]
সঞ্জয় ধাবা (জম্মু-কাশ্মীর): শ্রীনগর-লে জাতীয় সড়ক লাগোয়া এই ধাবায় ঢুঁ মারেননি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। ভারতীয় খানার পাশাপাশি চাইনিজ, ইটালিয়ান খাবারও সেখানে পাওয়া যায়।
বিশেষত্ব: আলু পরোটা, আলু সবজি এবং ব্ল্যাক টি।
শর্মা ধাবা (রাজস্থান): রাজস্থানি খাবারের খোঁজ চান? তাহলে সেরা ঠিকানা শর্মা ধাবা। জয়পুর-সিকার রোডের পাশে এই ঠিকানায় ২৪ ঘণ্টাই ভিড় লেগে থাকে। তবে এখানে সমস্ত খাবারই নিরামিষ।
বিশেষত্ব: মিসি রুটি, মাওয়ারুটি, পনীর মসলা, মালাই মটর।
গিয়ানা দা ধাবা (হিমাচল প্রদেশ): ২২ নম্বর জাতীয় সড়কে কালকা-সিমলা সড়কের পাশে এই ধাবার অবস্থান। ভাল খাবারের পাশপাশি এখানকার পরিবেশ মন ভাল করে দেবে।
বিশেষত্ব: তন্দুরি রুটি, তন্দুরি পরোটা এবং চা।
চিতল গ্রান্ড (উত্তরাখণ্ড): ঘরোয়া পরিবেশে খাবার চাইলে এই ধাবার কোনও বিকল্প নেই। ইচ্ছে হলে ধাবার ভিতরে খেতে পারেন। পাহাড়ের কোলে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। আলাদা কর্মী নয়, মালিক এবং তাঁর পরিবারের লোকজন ধাবাটি চালান। তাঁরাই রান্না এবং পরিবেশনের দায়িত্বে।
বিশেষত্ব: পরোটা, পনির কি সবজি, ধোসা, ইডলি, পনির পকোড়া।
[দাঁতে দুর্গন্ধ? জেনে নিন কীভাবে সারবে এই রোগ]
রাও ধাবা (রাজস্থান): যদি আপনি জয়পুর থেকে রাজস্থানে যান তাহলে একবার থামতেই হবে এই ধাবায়। আমিষ, নিরামিষ সবরকমের থালি মজুত রয়েছে।
বিশেষত্ব: নান, ডাল মাখানি, চানা মশলা
কারনাল হাভেলি (পাঞ্জাব): আর পাঁচটা ধাবার মতো তেল, কালি, ঝুল নয়। একেবারে ঝকঝকে। পাঞ্জাবি ঘরানার সমস্ত পদ মেলে এখানে। জিটি রোডের পাশেই রয়েছে এই খানা-খাজানা।
বিশেষত্ব: অমৃতসর চোলি, কাঢি, পরোটা, লস্যি।
চিলকা ধাবা (ওড়িশা): জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার রাজ্যে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন? ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া চিলকা ধাবায় একবার ঢুকলে চোখ এবং পেটের খিদে মিটবে। সামুদ্রিক খাবারের দিকে ঝোঁক থাকলে এটাই সেরা ঠিকানা।
বিশেষত্ব: কাঁকরার কারি, চিলি প্রন, ফিস কারি।
পুরাণ সিং দা ধাবা (পাঞ্জাব): বহর তেমন কিছু নয়। তবে ছোট্ট ধাবায় ঢুকলে বুঝবেন পদে পদে কত মনি মানিক্য রয়েছে। ১ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এই ধাবায় পাঞ্জাবের পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্তের খাবারের স্বাদ মেলে।
বিশেষত্ব: পালক পনির, কাধি চাওল, কিমা কালেজি, চিকেন কারি।
অমৃক সুখদেব ধাবা (হরিয়ানা): যারা পরোটায় বাড়তি মাখন পছন্দ করেন তাদের গন্তব্য হতেই পারে এই ধাবা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ঠিকানায় পরিপাটি করে খাবারের সবরকম ব্যবস্থা মজুত।
বিশেষত্ব: অমৃতসরী কুলচা, স্টাফড পরোটা, জিলিপি, লস্যি।
ভজন তরকা ধাবা (উত্তর প্রদেশ): নামেই পরিচয়। তরকা নিয়ে যারা খুঁতখুঁতে তারা এখানে এলে খুশি হবেন। দামও সাধ্যের মধ্যে। অবস্থান উত্তর প্রদেশের গাজরৌলা।
বিশেষত্ব: তরকা, পনির বাটার মশলা, লাচ্চা পরোটা, তন্দুরি রুটি।
উম্মিয়া অন্নপূর্ণা (গুজরাট): গ্যাস, বিদ্যুতের উনুন নয়। এখনও কাঠের জ্বালে রান্না হয়। ব্যবহার হয় বাটা মশলা। স্বাদ কেমন হবে বুঝতেই পারছেন। গুজরাটের আনন্দে ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া এই ধাবার বৈচিত্র্যময় খাবার পছন্দ করেন অনেকেই।
বিশেষত্ব: লাসন আলু, বেসন গাট্টা, সেব টমাটার।
সামার এন ডিস ধাবা (অসম): ভোমরাগিরি থেকে সোনিতপুর যাওয়ার পথে পড়ে এই ধাবা। অসমের প্রায় সমস্ত রকম পদ মেলে এখানে। খাবারের পাশাপাশি ধাবার পরিবেশও অনবদ্য।
বিশেষত্ব: আলু পিটিকা, পিজিয়ন কারি।
The post রাস্তায় খিদে পেয়েছে, কোন কোন ধাবায় ঢুঁ মারবেন? appeared first on Sangbad Pratidin.