সৈকত মাইতি, তমলুক: ক্রমাগতই নদীতে বেড়ে চলেছে দূষণের মাত্রা! সময় মত বর্ষা না আসায় যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে প্রকৃতিও! এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্রে কিংবা নদীতে নয়, এবার ইলিশের দেখা মিলল তমলুকের (Tamluk) একটি মাছ চাষের ফিসারিতে! সেই অবাক করা খবর রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেই খবরে আনন্দে প্রায় আত্মহারা হয়ে পড়েন ইলিশপ্রেমীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্তীর্ণ এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে নারায়ণপুরের খাল। পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই রূপনারায়ণ নদী সংলগ্ন গণপতি নগর যাওয়ার রাস্তার পাশেই রয়েছে কানাই জানার ৮ বিঘের মাছের ঝিল। যা আগে ইটভাটা ছিল। বর্তমানে এই ঝিলটি বেশ কয়েকজন লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে থাকেন। যেখানে মূলত রুই, কাতলা, মৃগেলের মতো সাদা মাছের চাষ হয়। সেখানে মাছ ধরার প্রতিযোগিতার আসর বসে। সেই ঝিলে জাল টানা হচ্ছিল। যেখান থেকে রুই, কাতলা, মৃগেল, ভেটকির পাশাপাশি আশ্চর্যজনকভাবে ন’টি খোকা ইলিশ (Hilsha) উঠে আসে। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সম মনোভাবাপন্ন দলকে স্বাগত’, দিল্লি যাওয়ার আগে ফের ডাক অভিষেকের]
মিষ্টি জলের পুকুরে ইলিশের দেখা মেলা নিয়ে রহস্য ভেদ হয় মাছচাষিদের কথাতেই। তাঁদের দাবি, সামনেই রূপনারায়ণ। এই রূপনারায়ণ থেকেই নারায়ণপুরের খাল বেয়ে জোয়ারের জল কোনওভাবে ঝিলে ঢুকে পড়েছিল। আর তাতেই ছোট-ছোট চিংড়ি, ভেটকি, পারশের পাশাপাশি খোকা ইলিশ
ঢুকে পড়েছিল! যেগুলি সময়ের সাথে সাথে অন্যান্য মাছের পাশাপাশি মিশ্র চাষে বেড়ে ওঠে।
ঝিলের এক মালিক উত্তমকুমার মণ্ডল বলেন, “মূলত স্বল্পপরিসর এই মাছের ঝিলে ছিপে মাছ ধরার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। রুই, কাতলার পাশাপাশি চিংড়ি এবং ভেটকিরও দেখা মিলেছিল আগেই। কিন্তু এভাবে একসঙ্গে ন’খানা খোকা ইলিশ উঠে আসবে তা আমরা ভাবতে পারিনি। জালে আটকে পড়া দু’টি খোকা ইলিশকে বাঁচানো সম্ভব হওয়ায় সেগুলিকে পুনরায় মাছের ঝিলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”