সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার মুখে CAA চালু কি বুমেরাং হবে বিজেপির জন্য? সোমবার বিকাল থেকে অসম-সহ উত্তরপূর্বে যেভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তাতে সেই আশঙ্কা তো থাকছেই। বিশেষ করে হিমন্ত বিশ্বশর্মার গড় অসমে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। হিমন্ত বলে দিলেন,”CAA-এর অধীনে যদি এমন একজনও নাগরিকত্ব পান, যারা NRC-র অধীনে আবেদন করেননি, তাহলে আমি পদত্যাগ করব।”
সোমবার বিকেলে সিএএ কার্যকর হওয়ার ঘোষণা হতেই অসমের (Assam) নানা এলাকায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) কার্যকর হওয়াকে অসমের ইতিহাসে কালো দিন বলে অভিহিত করেছেন অসম জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট লুরিনজ্যোতি গগৈ। তাঁর কথায়, সর্বানন্দ সোনওয়াল এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা- রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন আর তার পরে এই আইনে সমর্থন করেছেন। অসমের ভূমিপুত্রদের বিরুদ্ধে তাঁরা যে অন্যায় করেছেন, সেই জন্য চিরকাল অসম তাঁদের ভিলেন হিসাবেই মনে রাখবে। অসমের ১৬টি বিরোধী দলের জোট ইউওএফএ সাফ জানিয়েছিল, সিএএ কার্যকর হওয়ার পরদিন থেকেই রাজ্যজুড়ে বন্ধ-হরতাল শুরু হবে। ঘেরাও করা হবে জনতা ভবন।
[আরও পড়ুন: CAA চালু হতেই শুভেন্দুর মুখে মতুয়াদের ‘হরি বোল’, ধরনার হুঁশিয়ারি মমতাবালার]
অসমে এই বিক্ষোভের মূলে রয়েছেন সেখানকার ভূমিপুত্ররা। তাঁদের আশঙ্কা CAA-র অধীনে যদি বাঙালি হিন্দুরা নাগরিকত্ব পেয়ে যান, তাহলে অসমের ভুমিপুত্ররাই সেরাজ্যে সংখ্যালঘু হয়ে যাবেন। অসমে ইতিমধ্যেই NRC চালু হয়েছে। NRC-র মাধ্যমে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ ‘ডি ভোটার’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৩ লক্ষ হিন্দু বাঙালি। সিএএ চালু হলে এরা নাগরিকত্ব পেয়ে যেতে পারেন। সেই আশঙ্কাতেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ভূমিপুত্ররা।
[আরও পড়ুন: অবশেষে কার্যকর CAA, কী এই আইন? কেন এনিয়ে এত বিতর্ক?]
সেই ভুমিপুত্রদের আশ্বস্ত করতে মঙ্গলবার শিবসাগরে গিয়ে হিমন্ত বললেন,”ভুমিপুত্রদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমি নিজেও অসমের ভুমিপুত্র। যদি এমন একজনও নাগরিকত্ব পায় যারা এনআরসিতে আবেদন করেনি, তাহলে আমি পদত্যাগ করব।” আসলে যে শিবসাগরে হিমন্ত এ কথা বলছেন, আহম, মটক, মরানদের আধিক্য রয়েছে।