সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের জেরে শেয়ার বাজারে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। হুহু করে সম্পদ খুইয়েছেন তাঁর সংস্থার বিনিয়োগকারীরা। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন সংস্থাকে তোপ দেগেছেন ভারতীয় ধনকুবের। তাঁর মতে, পরিকল্পিতভাবে ভারতকে আক্রমণ করতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। পরের দিনই পালটা দিয়ে হিন্ডেনবার্গের (Hindenberg) তরফে বলা হয়েছে, আসলে দেশের প্রতি আক্রমণের বিষয়টি প্রচার করে নিজের দিক থেকে অভিযোগের তির ঘোরাতে চাইছেন আদানি। জাতীয়তাবাদের কথা উল্লেখ করে নিজের সম্পদের উত্থানের কথা গোপন করছেন।
রবিবার ৪১৩ পাতার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় আদানি গ্রুপের তরফে। সেখানে বলা হয়, “কল্যাণকর উদ্দেশ্যে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। স্বাধীন ভাবে গবেষণা না করেই উদ্দেশ্যহীন ভাবে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও সংস্থা নয়, সমগ্র ভারতকে আক্রমণ করেছে এই রিপোর্ট। ভারতের স্বাধীনতা, সততার পাশাপাশি ভারতীয় সংস্থাগুলির মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নানাক্ষেত্রে উন্নতি করছে ভারত, কিন্তু ভারতের এগিয়ে যাওয়া নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে এই রিপোর্টে।”
[আরও পড়ুন: শিল্পে চাকরিমুখী শিক্ষায় নয়া মডেল ‘টিচিং ফ্যাক্টরি’, পথ দেখাচ্ছে সিঙ্গাপুর]
এহেন বিবৃতির পরেই পালটা দেওয়া হয় হিন্ডেনবার্গের তরফে। মার্কিন সংস্থা সাফ জানিয়ে দেয়,”ভারতের উন্নতির সঙ্গে নিজের আর্থিক বৃদ্ধিকে জুড়তে চাইছেন আদানি। আমরা মনে করি, ভারত ভবিষ্যতের সুপারপাওয়ার দেশ। তবে ভারতের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করছেন আদানি নিজেই। গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দেশকে লুট করছে আদানি গ্রুপ। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিও যদি প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলেও তাঁর অপরাধের গুরুত্ব কমে যায় না।”
হিন্ডেনবার্গের তরফে আরও বলা হয়েছে, সম্পত্তির আচমকা বৃদ্ধি নিয়ে ৮৮টি প্রশ্ন করা হয়েছিল আদানি গ্রুপকে। তার মধ্যে ৬২টি প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি সংস্থাটি। তারপরেই প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, একদিনে ৪৫ হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে দাঁড়িয়ে আদানি গ্রুপ। তারপরেই এক ধাক্কায় ১১ লক্ষ কোটি টাকা খোয়ান বিনিয়োগকারীরা। সোমবার নতুন করে বাজার খুললে আরও পতন হবে বলেই আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা।