সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্ট। এবার আদানিদের পাশাপাশি নিশানায় সেবির শীর্ষকর্তা মাধবী পুরী বুচ! অভিযোগ, সেবির চেয়ারপার্সনও নাকি আদানিদের সংস্থায় অংশীদার। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ফের প্রত্যাশিতভাবেই সরব বিরোধীরা। ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। কংগ্রেস বলছে, স্বার্থের সংঘাত সরিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্ত করতে হবে।
হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যে সেবি আদানিদের ক্লিনচিট দিয়েছে সেই সংস্থার প্রধানও আদানিদের থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে সরানো টাকায় অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর। সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সেবির শীর্ষকর্তা মাধবী পুরী বুচ।
[আরও পড়ুন: ৫ বছরে ‘মকুব’ ৯.৯ লক্ষ কোটির অনাদায়ী ঋণ! তবু আশার কথা শোনাল কেন্দ্র]
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই সরব কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ একটি বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্ট সত্যি হলে সেবি কর্তার স্বার্থের সংঘাত নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে। এই ধরনের মামলায় স্বার্থের সংঘাত এড়ানো উচিত। কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি তুলছে। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এক্স হ্যান্ডেলে লিখছেন, "এটা পুরোপুরি আদানির স্টাইল। পুঁজিপতি আস্ফালনের আদর্শ উদাহরণ। এবার কি ইডি-সিবিআই মামলা করবে?"
[আরও পড়ুন: টার্গেট মধ্যবয়সী মহিলারা, যৌনতায় রাজি না হলেই খুন! ১৩ মাসে ৯ খুনে ধৃত সিরিয়াল কিলার]
উল্লেখ্য, গত বছর জানুয়ারিতে মার্কিন শর্টসেলার সংস্থা দাবি করে, নিজেদের ফায়দার জন্য নানাভাবে ভারতের বাজার প্রভাবিত করছে আদানিরা (Adani Group)। মোদি জমানায় আদানি গোষ্ঠীর উত্থানে বড়সড় দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করতে পড়তে থাকে আদানিদের শেয়ারের দাম। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেই বলা ছিল, এর জেরে আদানি গোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই পূর্বাভাস মিলেও যায়।