সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের রাজভবন চত্বরে থাকা মসজিদে নমাজ পড়তে দেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজা অ্যাকাডেমি নামে মুসলিমদের একটি সংগঠন। অবিলম্বে ওই মসজিদটি প্রার্থনার জন্য খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে। এবার হিন্দু জনজাগ্রুতি সমিতি (Hindu Janajagruti Samiti) নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে রাজভবন চত্বরে ধর্মাচরণের জন্য বড় জায়গা চেয়ে চিঠি পাঠানো হল।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় শাসনব্যবস্থা ধর্মনিরপেক্ষ। এখানে ধর্ম বা জাতপাতের ভিত্তিতে বৈষম্য না করার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। তাই রাজভবনের মুসলিম কর্মচারীদের যদি ওই চত্বরের মধ্যেই প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া তাহলে হিন্দু কর্মচারীদেরও সেই সুবিধা দিতে হবে। পুজোর আয়োজন ও উৎসব পালনের জন্য রাজভবনের এলাকার মধ্যেই তাঁদের জন্য বড় জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধানে বর্ণিত ন্যায়, সৌভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের ধারণাকে সম্মান জানিয়ে রাজভবনে কর্মরত হিন্দু কর্মচারীদের সংখ্যা অনুযায়ী ধর্মাচরণের জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষতি করে দিতে পারে’, আশঙ্কা লালুর বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তোলা বিজেপি বিধায়কের]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর ২ সপ্তাহ আগে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) -এর ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার অনুমতি দেয় উদ্ধব ঠাকরের সরকার। এতদিন কেন দেরি হল এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মন্দির খোলার বিষয়টি নিয়ে আমরা সবদিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়েছি। আসলে মন্দির খুললেই মানুষ ভিড করে লাইন দেবে। আর এর ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়বে ভেবেই মন্দির খোলার বিষয়ে দেরি করেছি। এর জন্য সমালোচনা সহ্য করতেও রাজি রয়েছি। কারণ যারা সমালোচনা করছে তারা কেউ সংক্রমণ বাড়লে এগিয়ে এসে দায়ভার নেবে না।