shono
Advertisement

Breaking News

প্রধান বিচারপতির কাছে মিনতি, তবুও পাকিস্তানে গুলি করে মারা হল হিন্দু ব্যবসায়ীকে

সিন্ধ প্রদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
Posted: 10:01 AM Feb 02, 2022Updated: 10:01 AM Feb 02, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এবার সিন্ধ প্রদেশে গুলি করে খুন করা হল এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে। তারপরই বিচারের দাবিতে ও দোষীদের সাজা চেয়ে প্রতিবাদ দেখান স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মৃত্যু দেড় হাজারেরও বেশি আন্দোলকারীর! মায়ানমার নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের]

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার সিন্ধ প্রদেশের ঘোটকি জেলায় সতনলাল নামের এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। জানা গিয়েছে, বিগত বছরআটেক ধরে সতনলালের একটি জমি দখল করার চেষ্টা করছিল প্রভাবশালী দাহার সম্প্রদায়ের কয়েকজন। ঘটনার দিন নিজের জমিতে একটি কারখানার উদ্বোধনের সময় সতনলালকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তারপরই নিরাপত্তা ও বিচারের দাবিতে স্থানীয় থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ দেখান সংখ্যালঘুরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত বাছাল দাহার ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কয়েকমাস আগেই সতনলালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ওরা আমাকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে। আমাকে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যেতে বলেছে তারা। এটা আমার দেশ। আমি কোথাও যাব না। আমার কাছে আত্মসমর্পণের চাইতে মৃত্যুবরণই শ্রেয়। ওই জমি আমার। কেন আমি তা অন্যের হাতে তুলে দেব।” বলে রাখা ভাল, স্থানীয় প্রশাসন ও পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির কাছে ন্যায়ের আর্জি জনীয়ছিলেন সতনলাল। তাকে হুমকি দেওয়া দুষ্কৃতীদের নামও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও তাঁকে প্রাণ হারাতে হয়।

উল্লেখ্য, সিন্ধ প্রদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি লক্ষণীয়। বিগত কয়েক বছরে সেখানে অপহরণ, হিন্দু কিশোরী ও মহিলাদের জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। হামলা হচ্ছে হিন্দুদের মন্দিরে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব দেখেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয় পুলিশ। গত ডিসেম্বর মাসেই সিন্ধ প্রদেশের (Sindh Province) বিভিন্ন শহরে এরই প্রতিবাদ মিছিল করেন সেদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুরা। বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ (Forced Conversion) নিয়ে সরব হন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার পাশেই ভারত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদানে বিরত রইল দিল্লি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement