সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু মন্দির ভাঙার (Hindu Temple Vandalism) ঘটনা সামনে এল। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে প্রতিবেশী দেশের করাচি (Karachi) শহরে। সোমবার করাচির রনছোড় লাইন এলাকার একটি হিন্দু মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় করাচির রনছোড় লাইন এলাকায় একটি হিন্দু মন্দিরে ঢোকে এক ব্যক্তি। এরপর সে মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত যোগমায়া দেবীর মূর্তিটিকে হাতুড়ির আঘাতে ভেঙে ফেলে বলে অভিযোগ। যদিও ওই ব্যক্তি ধরা পড়ে যায় স্থানীয়দের হাতে। তারাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ধর্মীয় অবমাননার আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় প্রতিবাদ ভারতের, চাপে ইমরান সরকার]
পাকিস্তানে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার উত্তাপ ছড়িয়েছে ভারতে। বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিং সির্সা (Manjinder Singh Sirsa) দাবি করেছেন, এই ঘটনা আসলে সে দেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সমর্থিত সন্ত্রাস। টুইট করে তিনি বলেন, “রনছোড় লাইনের আরও একটি মন্দিরকে অপবিত্র করা হল। হামলাকারীরা প্রমাণ করতে চাইছে, মন্দির ঈশ্বর-প্রার্থনার অনুপযুক্ত স্থান। এই ঘটনা আসলে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সমর্থিত সন্ত্রাস।”
আরও একটি টুইটে করাচির ঘটনা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (External Affairs Minister Dr S Jaishankar) নজরে এনেছেন বিজেপি নেতা। বিদেশমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন, প্রতিবেশী দেশে হিন্দু ও শিখদের ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে, বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা হোক।
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চাপের জের! পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় ধৃত ২৬]
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসেই পাকিস্তানের সিনধ প্রদেশের একটি মন্দিরে হামলা করে একদল দুষ্কৃতী। দামি গয়না ও প্রণামীর বাক্সের টাকা চুরি করে তারা। এর আগে বছরের শুরুতে প্রতিবেশী দেশের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় সরকারি ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত।
খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার ওই হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় মৌলবাদী ইসলামিক দলের কিছু সমর্থক। সেই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে।