অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: বোমা মেরে কলকাতার ২০০ স্কুল উড়িয়ে দেওয়া হবে, এই হুমকি দিয়ে নামীদামি স্কুলে পাঠানো সমস্ত ইমেল ভুয়ো। চিন্তার কারণ নেই, কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে সকলকে আশ্বস্ত করল পুলিশ (Kolkata Police)। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পুলিশের তরফে একটি ফেসবুক পোস্ট (Facebook post) করে জানানো হয়েছে, ''শহরের কয়েকটি স্কুলে বোমা রয়েছে বলে হুমকি ইমেল আমাদের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে এই ইমেল একটি গুজব এবং কোনও স্কুলের জন্য কোনও হুমকি নেই। অতীতেও বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের মতো শহরগুলির স্কুলগুলিতে একই রকম মেল পাঠানো হত। এই ধরনের কৌতুক মেল প্রেরকের বিরুদ্ধে মামলা এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।''
জানা গিয়েছে, স্কুলের ভুয়ো ইমেলের IP নেদারল্যান্ডসের। তবে এটা কোনও proxy IP পুলিশ সূত্রের খবর। এর আগে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে স্কুলে এরকম বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে ইমেল এসেছিল। সেই সূত্রে লালবাজারের তরফে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গতবছর একই গ্যাং এই ধরনের ইমেল করেছিল।
[আরও পড়ুন: তিন ম্যাচ পরে হার, চেন্নাই স্টেশনে থমকাল নাইটদের জয়রথ]
রবিবার রাত ঠিক ১২ টা বেজে ২৪। সেই সময়ে কলকাতার বেশ কয়েকটি নামী স্কুল-সহ মোট ২০০ স্কুলের মেল আইডিতে একটি হুমকি মেল আসে। প্রেরক ‘doll’। সেই মেলেই জানানো হয়েছে, স্কুলগুলোর ক্লাসরুমে বোমা রাখা রয়েছে। টাইমার সেট করা রয়েছে সকালের, যখন বাচ্চারা স্কুলে থাকবে। মেলের উদ্দেশ্যে হিসেবে জানানো হয়, যত বেশি সংখ্যক সম্ভব মানুষকে রক্তস্নান করানো। ওই মেলেই উল্লেখ্য করা হয়েছে দুই জঙ্গি চিং ও ডলের নাম। এই মেলকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পড়ুয়া, অভিভাবকরা।
[আরও পডুন: পথের কাঁটা ‘ঘরে’রই নির্দল-ISF প্রার্থী! ভোটের আগে ‘শাখের করাত’ জঙ্গিপুরের TMC প্রার্থীর]
যদিও প্রথম থেকেই পুলিশ মেলগুলিকে ভুয়ো (Hoax)বলে মনে করছিল। তবে সেসব খতিয়ে দেখার পর এবার ফেসবুক পোস্টে তা নিশ্চিত করা হল। পুলিশের তরফে মেলগুলি একেবারেই ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে লালবাজারের আরও বক্তব্য, ''আমরা বুঝতে পারি যে এই ধরনের বার্তা পাওয়া কষ্টদায়ক হতে পারে। কিন্তু দয়া করে সকলে শান্ত থাকুন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন। এরই মধ্যে সবাইকে গুজব ছড়ানো বা ভীত হওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। স্কুলের যে কোনও সাহায্যের জন্য আমরাও যোগাযোগ করছি।''