সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরম বাড়লেই তাদের দেখা মেলে। রান্নাঘর থেকে বইয়ের তাক, জানলার কোনা থেকে শোকেসের তলা, সর্বত্র অবাধ বিচরণ। কারও পরোয়া নেই, সামনে বাধা পেলেই গতিপথ পালটে নেয়। দহনজ্বালার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যখন সারা বাড়িতে পিঁপড়ের উপদ্রব শুরু হয়, তখন যেন ত্রাহি ত্রাহি রব। কী করা যায়? বাজারচলতি ওষুধ দিতেই পারেন। কিন্তু তাতে আবার রাসায়নিকের বিষ নেই তো? তাহলে উপায় কী? ঘরোয়া কয়েকটি জিনিসেই কেল্লাফতে হতে পারে।
যেমন পিঁপড়ে তাড়াতে তেজপাতা খুব কাজ করে। তেজপাতার গন্ধ পিঁপড়ে একেবারেই সহ্য করতে পারে না। তাই তেজপাতা গুঁড়ো করে ঘরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে দিন। দেখবেন এতে পিঁপড়ে ঘরে আসবে না।
মিষ্টি যেন পিঁপড়ের কাছে চুম্বকের মতো। একবার চিনির কৌটায় ঢুকে পড়লেই বিপত্তি। চিনির কৌটো বাঁচানোর মোক্ষম হাতিয়ার লবঙ্গ। কৌটোতে কয়েকটা লবঙ্গ রেখে দিন। এতে চিনির কৌটোতে পিঁপড়ে হানা দেবে না।
[আরও পড়ুন: করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হার্ট অ্যাটাক? বিস্ফোরক শ্রেয়স তলপড়ে]
বই রাখার সেলফে পিঁপড়ে হানা দিলে বইয়ের ক্ষতি হতে পারে। এই উপদ্রব থেকে বাঁচতে একটা কাপড়ের ছোট পুটুলিতে কয়েকটা লবঙ্গ ও দারচিনি রেখে, পুটলিতা বইয়ের সেলফে রেখে দিন। দেখবেন পিঁপড়ের উপদ্রব কমবে।
পুদিনা পাতার কড়া গন্ধ মোটেই পছন্দ নয় পিঁপড়েদের। সামান্য পুদিনা পাতা থেঁতো করে এই পাতা রান্নাঘর ও মেঝের কোণের অংশগুলিতে দিয়ে রাখা যেতে পারে। তা ছাড়া পুদিনা তেল জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরে স্প্রে করলেও পিঁপড়ের উপদ্রব কমবে।
ঘর মোছার সময় অনেকেই ফিনাইল বা সেই জাতীয় লিকুইড ব্যবহার করেন। চাইলে বালতির জলে নিমপাতা বাটা মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে শুধু পিঁপড়ে নয়, মশা-মাছিও দূর হবে।
আরেকটি দারুণ জিনিস আপনার হাতে কাছে রয়েছে। তা হল কর্পূর। ঘরের কোনায় যদি কোনও গর্ত থাকে, সেখানে কর্পূর ফেলে দিন। দেখবেন পিঁপড়ে আনাগোণা কমে যাবে।
অনেকে পিঁপড়ে তাড়ানোর জন্য কেরোসিন তেল দিয়ে ঘর মোছেন। কেরোসিন তেলের পরিবর্তে ঘর মোছার জলে কয়েক ফোঁটা সরষের তেল মিশিয়ে নিন। দেখবেন পিঁপড়ের থেকে রেহাই মিলবে।