সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোয় চাই নতুন জামা, নতুন জুতো। এসব তো হয়েই থাকে। কিন্তু আমরা যে বাড়িতে থাকি, পুজোর আগে তারও তো ভোলবদল দরকার। লুক চেঞ্জ শুরু করুন পর্দা দিয়েই।
ঘর সাজানোর মন্ত্রে প্রথম সারিতে আসে পর্দা। কী ভাবে সাজাবেন অন্দর, তা বুঝেশুনে এগোলে চেনা ঘরই নতুন করে সুন্দর লাগবে। শুধু দরজা বা জানলায় নয়, পর্দার দৌলতে ঘরের ছাদ আরও উঁচু দেখাতে পারে। তাই পর্দা কেনার সময় এসব জিনিস মাথায় রাখবেন।
প্রথমেই দেখে নিতে হবে আপনার ঘরের দেওয়ালের রঙ এবং আসবাবপত্র কী রকম। অনেকেই এমন রঙের পর্দা বেছে নেন, যাতে দেওয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে। মেহগনি বা অন্যান্য কাঠের আসবাব ঘরে রাখলে, তার সঙ্গে মিলিয়েও পর্দা কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে পর্দার রং কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পর্দার রঙ হতে পারে হাল্কা প্যাস্টেল শেডে। ঘরের পরিবেশে আসবে শীতলতার ছোঁয়া। আবার ধরুন ঘরের দেওয়াল খুব হাল্কা রঙের। সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রঙের কনট্রাস্ট পর্দাও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরও খুব উজ্জ্বল আর সুন্দর দেখাবে।
প্রিন্টেড নাকি একরঙা পর্দা- কোনটা মানাবে আপনার ঘরে, কেনার আগেই ভেবে নিতে পারেন। বসার ঘরের সোফাসেট বা শোওয়ার ঘরের বিছানা এবং অন্যান্য আসবাব একরঙা হয়, তবে প্রিন্টেড বা কারুকাজ করা পর্দা বাছতেই পারেন। আর ঘরের আসবাবপত্রে যদি থাকে ভারী কাজ বা জমকালো নকশা, তাহলে বেছে নিন হাল্কা রঙের একরঙা পর্দা।
অনেকে ঘরে ছোট পর্দা ব্যবহার করেন, যাতে আলো-বাতাস খেলে বেশি। কারও পছন্দ আবার বড়, লম্বা পর্দা, যাতে ঘর বড় এবং ছাদ উঁচু দেখায়। জানলায় ছোট পর্দা থাকলে অনেক সময়ে ঘর ছোট দেখাতে পারে। তাই নিজের পছন্দ ও ভাবনা অনুযায়ী ঠিক করে নিতে পারেন পর্দার দৈর্ঘ্য। বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে অনেকেই বড় পর্দা ব্যবহার করেন না। এতে সামলানোর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেডরুমের জন্য বেছে নিতে পারেন একটু ভারী বা মোটা কাপড়ের পর্দা। এতে খুব বেশি রোদও ঘরে আসে না, আর শোয়ার ঘরের গোপনীয়তা বজায় রাখতেও অসুবিধা হয় না। সুতির কাপড় বা স্যাটিন কাপড়ের কাজ করা পর্দা এ ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী।
ড্রয়িং রুম বা বেডরুমে যদি হালকা রঙের দেওয়াল থাকে, সে ক্ষেত্রে দুই দিকে প্রিন্টেড কাপড় ও মাঝখানে একরঙা কাপড়ের পর্দা বানাতে পারেন। একই ভাবে যদি ঘরের দেওয়াল হয় গাঢ় রঙের, তা হলে দু’দিকে নরম প্যাস্টেল শেডে একরঙা পর্দা দিয়ে মাঝখানে রাখুন প্রিন্টেড কাপড়ের পর্দা।