গোবিন্দ রায়: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। নিজের মতো করে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন সকলে। এই আবহে প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে গান গেয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বেলঘরিয়া থানার ট্রাফিক হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডা। অভিযোগ, তার জেরেই নাকি তাঁকে কাজে যেতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও উপায় না পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, পাঁচবছর ধরে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে বেলঘরিয়া থানার ট্রাফিক হোমগার্ডের চাকরি করছিলেন কাশীনাথ পাণ্ডা। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ২১ আগস্ট একটি গান গেয়ে তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। অভিযোগ, তাতেই রেগে লাল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ওই পোস্টের পর থেকেই তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। প্রতি পদে পদে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছিল। অক্টোবর মাসের শুরু দিকে তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়। এর পরই ১০ অক্টোবর নাকি কোনও কারণ না দেখিয়ে তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এর পরই সোজা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কাশীনাথ। আগামী শুক্রবার বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।
ওই হোমগার্ড জানিয়েছেন, আর জি করের ঘটনায় তিনি প্রথম থেকেই খুব বিচলিত ছিলেন। সেই কারণেই একটি ভক্তিগীতির কিছু শব্দ পরিবর্তন করে গেয়েছিলেন। তাতেই তিনি বসেদের টার্গেট হয়ে যান। কাশীনাথের কথায়, মত প্রকাশ তাঁর মৌলিক অধিকার। কিন্তু তাঁর বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, "পুলিশে চাকরি করলেও কি প্রতিবাদ করা যাবে না?"