শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফোনে প্রেমের ফাঁদ! সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে সম্পর্কের টোপ দিয়ে নির্জন জায়গায় ডাক! আর সেই ডাকে সাড়া দিলেই যুবকদের সর্বস্ব লুট। এমনই প্রতারণা চক্রের কিনারা করল পুলিশ। যুবকদের প্রতারণা করে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অবশেষে শুক্রবার এক মহিলা-সহ চার দুষ্কৃতীকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চোপড়ায় কয়েকদিন ধরে এই ধরনের প্রতারনা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকার যুবকদের ফোন করে প্রেমের জালে ফাঁসাত একদল মহিলা। তারপর মহিলারা নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করার জন্য ডেকে আনত যুবকদের। ওই এলাকায় পৌঁছতেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকাপয়সা, সোনার গয়না ছিনিয়ে নেওয়া হত। এমনকি ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা জোর করে অনলাইনে টাকা ট্রান্সফার করা হত। ইসলামপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন,”দু’দিন আগে চোপড়ায় এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী মিঠুন মণ্ডল নামে এক যুবক এই প্রতারণা চক্রের শিকার হন। তাঁকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নির্জন জায়গায় ডাকা হয়। এরপর লক্ষাধিক টাকা অনলাইন ট্রান্সফার করে নেয় দুষ্কৃতীরা।”
[আরও পড়ুন: ‘কাঁচা বাদাম কিনে দেব, বলো হবে নাকি বউ?’ গায়ক কেশবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের ভাইরাল ভুবন বাদ্যকর]
অভিযোগ পাওয়মাত্রই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। চক্রের পাণ্ডা মান্নান হোসেন এবং এক মহিলা-সহ চার দুষ্কৃতীকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, ওই প্রতারণার চক্রের সদস্যরা ইতিমধ্যে কোটি টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলেই মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, প্রেমের ফাঁদের ফেলে প্রতারণার অভিযোগ নতুন নয়। খাস কলকাতায় বসেই ‘হানি ট্র্যাপ’ চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভিডিও কল করা হয়। ভিডিও কলটি ধরলেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠে মহিলাদের অশ্লীল ছবি। সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতানোর ছক কষা হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রায়গঞ্জে এমনই এক ঘটনার পর্দাফাঁস।