সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই বিক্ষোভ থামছে না হংকংয়ে। লাগাতার চাপ বাড়ছে প্রশাসনের উপর। শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ ক্রমেই ধারণ করছে হিংস্র রূপ। এহেন পরিস্থিতিতে আগুনে ফের ঘি ঢাললেন স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটির মুখ্য প্রশাসক ক্যারি ল্যাম। এবার সমাজকর্মী জোশুয়া ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে ডিস্ট্রিক্ট কাউনসিল ভোটে দাঁড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে ওয়াং বলেন, ‘শুধু আমার উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এতেই বোঝা যায় কীভাবে এই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে চিন।’ যদিও সরকার পক্ষের দাবি, স্বশাসনের দাবি হংকংয়ের আইনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বরের ২৪ তারিখ হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কাউনসিল নির্বাচন। গণতন্ত্রকামীদের অন্যতম মুখ ও সমাজকর্মী জোশুয়া ওয়াং। ২০১৪ সাল থেকেই হংকংয়ে চিনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ তিনি। ওই সালেই বেজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কার্যসূচী গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ওয়াং প্রতিবাদে নেমেছেন। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর গত জুন মাসে মুক্তি পান তিনি। তবে গারদের বাইরে এসেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে চিনপন্থী ল্যাম প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন তিনি। এবার, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশাসকের চয়ন ও পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন শহরের মানুষ। তবে, গোটা বিক্ষোভকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করছে চিন ও সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলি। হংকংয়ে বিদেশি মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি কাজ করছে বলে অভিযোগ বেজিংয়ের।তবে চিনের অভিযোগে কান দিতে নারাজ আন্তর্জাতিক মঞ্চ।
এদিকে ওয়াংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা আর আগুনে ঘি ঢালা এক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে বিক্ষোভ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বুধবার বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল পাকাপাকিভাবে রদ করার কথা ঘোষণা করা হয়৷ যদিও এই ঘোষণায় চিড়ে ভিজছে না৷ এখনই বিক্ষোভ থামাতে রাজি নয় গণতন্ত্রকামীরা৷ এই মুহূর্তে হংকং প্রশাসনের অবস্থা হচ্ছে, ‘শিরে সর্পাঘাত হইলে তাগা বাঁধি কোথা৷’
[আরও পড়ুন: লাদেনের মতোই অতল সমুদ্রের অন্ধকারে ঠাঁই হয়েছে বাগদাদির]