সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষোভের মুখে পিছু হটল হংকংয়ের চিনপন্থী ক্যারি ল্যাম প্রশাসন৷ বুধবার বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল পাকাপাকিভাবে রদ করার কথা ঘোষণা করা হয়৷ যদিও এই ঘোষণায় চিড়ে ভিজছে না৷ এখনই বিক্ষোভ থামাতে রাজি নয় গণতন্ত্রকামীরা৷ এই মুহূর্তে হংকং প্রশাসনের অবস্থা হচ্ছে, ‘শিরে সর্পাঘাত হইলে তাগা বাঁধি কোথা৷’
বুধবার বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলটি রদ করার কথা ঘোষণা করেন হংকংয়ের নিরাপত্তা মন্ত্রী জন লি৷ এদিন আইনসভায় তিনি বলেন, ‘প্রশাসন আগেই বলেছিল বিলটি প্রত্যাহার করা হবে৷ এই বিষয়ে কাজ চলছিল৷ তবে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে এবার বিলটি সরাসরি রদ করে দেওয়া হল৷’ উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ‘2019 Hong Kong extradition bill’ নামের একটি বিল আনে ক্যারি ল্যামের প্রশাসন৷ বিলটি আইনে পরিণত হলে অপরাধীদের চিনের হাতে সঁপে দেওয়ার ক্ষমতা চলে আসত হংকং প্রশাসনের হাতে৷ গণতন্ত্রের বারুদে এই প্রস্তাবই কার্যত স্ফুলিঙ্গের কাজ করে৷ প্রবল জনমত বিস্ফোরণ ঘটে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটিতে৷ কম্যুনিস্ট চিনের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে রাস্তায় নেমে পড়েন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ তারপর থেকেই চলছে বিক্ষোভ৷ পুলিশ দিয়ে লাঠি চালিয়ে, টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েও নিয়ন্ত্রণে অন্য যায়নি৷ শুধু বিল রদ নয়, আর একগুচ্ছ দাবি তোলেন প্রতিবাদীরা৷ জার মধ্যে রয়েছে মুখ্য প্রশাসক ক্যারি ল্যামের ইস্তফারও দাবিও৷
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রশাসনের অসময়ের এই পদক্ষেপ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পক্ষে অথেষ্ট নয়৷ রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, চাপের মুখে ক্যারি ল্যামকে পদ থেকে সরানোর কথায় ভাবছে বেজিং৷ এদিকে, বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের দাবি মিটলেও অন্যান্য দাবি না মেটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীর। এবার, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশাসকের চয়ন ও পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন শহরের মানুষ। তবে, গোটা বিক্ষোভকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করছে চিন ও সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলি। হংকংয়ে বিদেশি মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি কাজ করছে বলে অভিযোগ বেজিংয়ের।তবে চিনের অভিযোগে কান দিতে নারাজ আন্তর্জাতিক মঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ব্রেক্সিট জট খুলতে বিরোধী নেতা করবিনের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী জনসনের]
The post বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের ঘোষণা হংকংয়ের, এবার কি ফিরবে শান্তি? appeared first on Sangbad Pratidin.