সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের নির্লজ্জ নজির দেখা গেল হংকংয়ে (Hong Kong)। তিয়েনআনমেন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় এবার দোষী সাব্যস্ত ধনকুবের জিমি লাই। একইসঙ্গে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে গণতন্ত্রকামী প্রাক্তন সাংবাদিক গাইনেথ হো এবং প্রাক্তন মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনজীবী চাউ হাং তুংকে।
[আরও পড়ুন: পূর্ব ইউক্রেনে গণহত্যার অভিযোগ করলেন পুতিন, ন্যাটো দেশগুলির সঙ্গে ফোনালাপ বাইডেনের]
বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে আগেই গ্রেপ্তার করা হয় মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীদের অন্যতম মুখ তিনি। বরাবরই বেজিংয়ের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ‘Next Digital’ মিডিয়া সংস্থার কর্ণধার লাই। চিন-বিরোধী খবর প্রকাশের জন্য বছরখানেক আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জিমির সংস্থার সংবাদপত্র ‘অ্যাপল ডেইলি’-কে। তার আগে এক সাক্ষাৎকারে লাই সাফ জানিয়েছিলেন, হংকংয়ে থেকেই তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবেন। নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাঁকে নিশানা করবে বেজিং বলে সেখানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন লাই। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ জুন তিয়েনআনমেন দিবসে চিনের দমননীতির প্রতিবাদে ও নিহত গণতন্ত্রকামীদের স্মরণে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন লাই, চাউ ও হো। বলে রাখা ভাল, প্রতিবছরই ওই দিনটিতে হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়ে তিয়েনআনমেন চিনা বাহিনীর হাতে নিহত গণতন্ত্রকামীদের শ্রদ্ধা দেখান। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে ওই কর্মসূচী নিষিদ্ধ করে দেয় বেজিং।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিবাদ হেলায় উড়িয়ে হংকং নিয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করে চিন। বিতর্ক উপেক্ষা করেই ‘National security legislation for Hong Kong’ শীর্ষক বিলটিতে সই করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর ফলে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটির উপর বেজিংয়ের রাশ আরও শক্তিশালী হয়েছে। তারপরই চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে হংকংয়ের (Hong Kong) ৩০ লক্ষ বাসিন্দাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, সদ্য হংকংয়ের ‘চিনপন্থী’ প্রশাসক ক্যারি লাম-সহ ১০ জন উচ্চপদস্থ চিনা আধিকারিকের উপর ভ্রমণ ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন।