সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোষ্যদের চুম্বন করবেন না। করোনা (Coronavirus) হতে পারে। এই মর্মেই সকলকে সতর্ক করল হংকং (Hong Kong) প্রশাসন। হ্যামস্টার নামে এক ধরনের ইঁদুর জাতীয় প্রাণীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২ হাজার হ্যামস্টারকে মেরেও ফেলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর পশুপ্রেমীরাও।
সম্প্রতি এক পোষ্য বিপণীর ১১টি হ্যামস্টারের শরীরে ধরা পড়েছে কোভিড সংক্রমণ। তারপর থেকেই বাড়ছে আতঙ্ক। চিন করোনা প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলছে। হংকং রয়েছে চিনেরই অধীনে। তাই ওই হ্যামস্টাররা আক্রান্ত হওয়ার পরে ওই এলাকার প্রায় হাজার দুয়েক পোষ্যকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনার ক্লাস্টারকে নষ্ট করে দিতে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের আমদানি কিংবা রপ্তানি।
[আরও পড়ুন: ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল নাম, করাচিতে মৃত্যু ১৯৯৩ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত সেলিম গাজির]
কেবল তাই নয়, সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহু পোষ্য বিপণী। চলছে প্রভূত পরিমাণে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া। যাতে কোনও ভাবেই ওই প্রাণীদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে নতুন কোনও অনর্থ না ঘটাতে পারে, তাই এই সব পদক্ষেপ বলে জানাচ্ছে প্রশাসন।
কিন্তু ১১টি প্রাণীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ায় এতগুলি নিরীহ প্রাণীর এমন হত্যার নির্দেশ ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়েছে। পশুদেরপ্রেমী এক স্থানীয় সংস্থা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এসপিসিএ সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণায় স্তম্ভিত। পশুকল্যাণ ও মানষ-পশু বন্ধনের তোয়াক্কা না করেই ওই ২ হাজার প্রাণীকে মেরে ফেলার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে, এখনও যখন সেভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়নি, ওই প্রাণীগুলির থেকে মানুষের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তখন এভাবে নির্দেশ দেওয়ার অর্থ কী। বরং পোষ্য মালিকরা যদি নিয়মিত হাত ধুয়ে নেন ও তাদের চুম্বন না করেন তাহলেই সংক্রমণ এড়ানোর একটা উপায় হতে পারে বলে মত তাঁদের।
উল্লেখ্য, সারা পৃথিবীতেই কুকুর ও বিড়ালের মধ্যে করোনা ধরা পড়ার বহু উদাহরণই চোখে পড়েছে গত ২ বছরে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রমাণ মেলেনি তাদের শরীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে।