সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হংকংয়ের (Hong Kong) গণতন্ত্রকামী নেতা তথা ধনকুবের জিমি লাইয়ের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত। ফলে চিনা প্রশাসনের কড়া সমালোচক লাইকে আপাতত জেলেই থাকতে হবে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়নি ইরান! মুখরক্ষায় দাবি ইসলামাবাদের]
২০১৯ সালে একটি প্রত্যর্পণ আইন নিয়ে হংকংয়ে তুঙ্গে পৌঁছায় চিন বিরোধী বিক্ষোভ। স্বশাসিত প্রদেশটিতে গণতন্ত্র কায়েম করার দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। ২০২০ সালে করোনা কালেও অব্যাহত থাকে প্রতিবাদ। তারপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করে চিন। ওই নয়া আইনে সমস্ত রকমের প্রতিবাদ ও সরকার বিরোধী আন্দোলনকে দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখানো হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই আইন আসলে গণতন্ত্রকামীদের নিশানা করতে আনা হয়েছে। এই আইনে অভিযুক্তের মানবাধিকারকে কোনও মূল্য না দিয়ে যখন তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা ও মামলা চালানো যায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চের তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও ওই আইন বাতিল করেনি চিন। গণতন্ত্রকামীদের কারাগারে বন্দি করে স্বশাসিত প্রদেশটির জনতার প্রায় সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে বেজিং।
বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করেই গ্রেপ্তার করা হয় জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীদের অন্যতম মুখ তিনি। বরাবরই বেজিংয়ের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ‘Next Digital’ মিডিয়া সংস্থার কর্ণধার লাই। কয়েকদিন আগেই, এক সাক্ষাৎকারে লাই সাফ জানিয়েছিলেন, হংকংয়ে থেকেই তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবেন। নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাঁকে নিশানা করবে বেজিং বলে সেখানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন লাই। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিবাদ হেলায় উড়িয়ে হংকং নিয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করে চিন। বিতর্ক উপেক্ষা করেই ‘National security legislation for Hong Kong’ শীর্ষক বিলটিতে সই করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর ফলে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটির উপর বেজিংয়ের রাশ আরও শক্তিশালী হয়েছে। তারপরই চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে হংকংয়ের (Hong Kong) ৩০ লক্ষ বাসিন্দাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, সদ্য হংকংয়ের ‘চিনপন্থী’ প্রশাসক ক্যারি লাম-সহ ১০ জন উচ্চপদস্থ চিনা আধিকারিকের উপর ভ্রমণ ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন।