দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ফের ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ছিনিয়ে নিল হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞানকিশোর দাস। এই প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানীদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রথম স্থান অধিকার করল সে। ছেলের কৃতিত্বে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ওই পড়ুয়ার পরিবার।
ভারত সরকার আয়োজিত ‘নব ভারত নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণের বয়সের কোনও সীমা নেই। যে কেউ নিজের সৃষ্ট বিজ্ঞানভিত্তিক মডেল প্রদর্শন করতে পারে সেখানে। হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞান চলতি বছরে নেচার বেসড সলিউশন রিসোর্স এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড সারকুলার ইকোনমি বিভাগে অংশগ্রহণ করে। তার তৈরি করা পোর্টেবল টাচ ফ্রি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ( Sanitizer) (ম্যানুয়াল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক) সকল প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে দিয়ে সেরা হয়। দেশের নামকরা ৬ বৈজ্ঞানিক এই প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন। গত বছর এই প্রতিযোগিতায় দিল্লিতে দূষণের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় দূষণ সৃষ্টিকারী যান নিয়ন্ত্রণে একটি যন্ত্র বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল অভিজ্ঞান। আর এই বছর কোভিড পরিস্থিতিতে সেই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। অভিজ্ঞান যে টাচ ফ্রি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়েছে তার দাম অত্যন্ত কম। মূলত স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের কাজের সুবিধার কথা চিন্তা করতেই তার এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে বিচারকদের দ্বারা।
[আরও পড়ুন:‘শ্রমজীবী ক্যান্টিনে’র পর এবার বিনামূল্যে শীতবস্ত্রের বাজার, ফের জনসেবায় বামেরা]
পোর্টেবল এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার শরীরের সঙ্গেই ঝোলানো থাকবে। আর এক হাতে থাকবে সেনসর লাগানো ঘড়ি, অন্য হাতে লাগানো থাকবে ম্যাগনেট। যে হাতে ঘড়ি সেই হাতেই রয়েছে একটি সিলিকন টিউব। যার সঙ্গে স্যানিটাইজারের সরাসরি যোগ রয়েছে। এরপর ম্যাগনেট যে হাতে লাগানো রয়েছে সেই হাতটি সেনসর লাগানো ঘড়ির কাছে নিয়ে গেলেই হাতে সরাসরি এসে পড়বে স্যানিটাইজার। সেখানে কোনওভাবেই কোনও কিছু স্পর্শ না করেই এই স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে।