সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা শহরে এখনই কোনও হুক্কা বার (Hookah Bar) বন্ধ হচ্ছে না। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। যার ফলে শহরের সব হুক্কা বার বন্ধের যে নির্দেশ পুরসভা দিয়েছিল, সেটি আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে পেপারবুক জমা দিতে হবে। ৬ সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শহরের সব হুক্কা বার বন্ধ করার নির্দেশ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভা জানায়, কলকাতার বিভিন্ন হুক্কা বারে (hookah bars) হুক্কার সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এধরনের প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, হুক্কা বারে ভিড় জমান কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই হুক্কার সঙ্গে মাদক বা ড্রাগ মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ।
[আরও পড়ুন: চিটফান্ড মামলায় কলকাতা-হাওড়ায় হানা ইডির, তল্লাশি ব্যবসায়ী ও আইনজীবীর বাড়িতে]
পুরসভার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় বার মালিকদের সংগঠন। তাঁদের দাবি ছিল, যেহেতু হুক্কা বার চালানোর জন্য পৃথকভাবে লাইসেন্স নেওয়া থাকে, তাই বার বন্ধের নিষেধাজ্ঞা বেআইনি। কোনও পুর কর্তৃপক্ষ এভাবে হুক্কা বার বন্ধ করতে পারে না। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajashekhar Mantha) রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের সেই যুক্তি মেনে নেন। এবং রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করে হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ খারিজ করে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশকে মারতে বলছে সেই প্রমাণ কোথায়?’, নওশাদ মামলায় হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য]
পালটা ডিভিশন বেঞ্চে যায় পুরসভা। পুরসভার দাবি ছিল, যুবসমাজের কথা ভেবে হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ বহাল রাখা হোক। কিন্তু প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ পুরসভার আবেদন খারিজ করে ৩ সপ্তাহের মধ্যে পেপারবুক জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।