ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রোগীরা। তা সত্ত্বেও তাঁদের ভরতি না নেওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভে শামিল হয় রোগীর পরিবার। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
বিগত চার-পাঁচ বছরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের (Katwa College) পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে ইউনিট। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসূতি বিভাগে বর্তমানে ৬০ টি বেড রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ১০-১৫ জন ভরতি হন সেখানে। মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে যান বিদিশা চক্রবর্তী, আয়েশা খাতুন-সহ ১০ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বলা হয়, চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকায় ভরতি নেওয়া সম্ভব নয়। রোগীর পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয় অন্য হাসপাতালে যাওয়ার। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। হাসপাতাল চত্বের শুরু হয় বিক্ষোভ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অশান্তির মাঝে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বারা। বাধ্য হয়ে পরিবারের তরফে তাঁদের বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘বারবার দেখতে আসছেন কী বেচা যায়’, মোদির বঙ্গসফরকে তীব্র কটাক্ষ অনুব্রতর]
এ বিষয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নবারুন গুপ্ত বলেন, “প্রসূতিদের ভরতি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব রোগীদের ভরতি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রত্যেককে হাসপাতালে ভরতি করা হবে। একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে।” উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও নদিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার একাংশ থেকে রোগীরা আসেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে এহেন ঘটনায় বাড়ছে ক্ষোভ।