সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৌমাছির গুঞ্জন কমছে ইংরেজদের দেশে৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাবারের সংকট৷ শুনে অবাক হচ্ছেন? ধাঁধা লাগছে? কিন্তু এটাই সত্যি৷ ব্রিটেনে একধরনের মৌমাছির সংখ্যা কমছে৷ যা খাদ্যশস্যের সঙ্গে ফুলের পরাগ সংযোগ ঘটানোর কাজ করে থাকে৷ অক্সফোর্ডের পরিবেশ বিষয়ক এক সংস্থার গবেষণা বলছে, হোভারবিজ প্রজাতির মৌমাছির সংখ্যা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হু হু করে কমছে৷ যার ফলে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা৷
[ আরও পড়ুন : ব্রেক্সিট চুক্তি পাশ করাতে মরিয়া মে, প্রয়োজনে পদত্যাগেও রাজি]
হোভারবিজ সাধারণত বুনো মৌমাছি৷ খাদ্যশস্যের সঙ্গে পরাগ সংযোগ ঘটিয়ে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদনে সহায়তা করে৷ স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে এদের সংখ্যা ছিল বহু৷ তাই ওই অঞ্চলেই সমীক্ষা চালিয়েছিলেন গবেষকরা৷ দেখা গিয়েছে, ১৯৮০ সাল থেকে এদের সংখ্যা কমতে কমতে এখন তলানিতে ঠেকেছে৷ ব্রিটিশ পরিবেশবিদ গ্যারি পাউনির কথায়, ‘এই মৌমাছির বিলুপ্ত হতে শুরু করলে, ভবিষ্যতে আমাদের দেশে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি কিছুটা ঝুঁকির মুখে পড়বে৷এরপর আর প্রাকৃতিকভাবে শস্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য থাকবে গুটি কয়েক প্রজাতির পতঙ্গ৷’ তাছাড়া বন্যপ্রাণ সংরক্ষকদের কাছেও হোভারবিজের সংখ্যা হ্রাস বেশ দুঃসংবাদই বয়ে আনছে৷
[ আরও পড়ুন : ভারতের ‘স্যাটেলাইট কিলার’ মিসাইলে ভীত পাকিস্তান, সতর্ক চিন]
কিন্তু কেন শস্য ফলনে সহায়ক এই প্রাকৃতিক বন্ধুদের এমন বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে৷ পতঙ্গবিদরা বলছেন, এটা স্বাভাবিক অবলুপ্তি৷ অর্থাৎ পরিবর্তিত পরিস্থিতি, সময়ের সঙ্গে নিজেদের যথাযথভাবে অভিযোজিত করতে না পারলে যেভাবে কোনও প্রজাতি হারিয়ে যায়, হোভারবিজের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে৷ এদের অন্য কোনও প্রজাতির সঙ্গে মিলন না হওয়ায় বংশবৃদ্ধির রাস্তা ততটা মসৃণ হয়নি৷ তাই কালের নিয়মেই একে একে বিলুপ্ত হচ্ছে এরা৷ আর পরিবেশবিজ্ঞানীরা দায়ী করছেন আবহাওয়া বদলকে৷ বলা হচ্ছে, পরিবেশের দ্রুত বদলের ফলে জীব বৈচিত্র্য বদলাচ্ছে এবং সেটাই হোভারবিজকে বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ আরেকটি কারণও অবশ্য উঠে আসছে৷ পরিবেশ বিজ্ঞানীদের আরেকাংশের মতে, চাষের জমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশকের প্রয়োগও হোভারবিজের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে৷ কারণ যাই-ই হোক, বুনো মৌমাছির অবলুপ্তিতে ব্রিটেনের খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, সেটাই আপাতত সবচেয়ে চিন্তার৷
The post বিলুপ্তির পথে প্রকৃতিবন্ধু মৌমাছি, ব্রিটেনে বিপদ সংকেত appeared first on Sangbad Pratidin.