কলহার মুখোপাধ্যায়: মনে হতেই পারে, আপনি রয়েছেন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত! নিজের মতো ঢুকছেন এটিএম-এ, টাকা তুলছেন, বেরিয়েও আসছেন। এটিএম কার্ডের নম্বর আপনি ছাড়া আর কেউ জানেনও না! তাহলে আর চিন্তা কীসের!
চিন্তা কিন্তু আছেই!
এটিএম-এ বিপদ থেকে সাবধান থাকবেন কী ভাবে?
তার জন্য আগে জানা দরকার- কী ভাবে আপনি বিপদের মুখে পড়তে পারেন!
১. প্রতারকরা এটিএম মেশিনে প্লাস্টিক কার্ড ঢুকিয়ে নানাভাবে প্রতারণা করতে পারে৷
২. মেশিনে জাল কার্ড ঢুকিয়ে ব্যাঙ্ক রেকর্ড থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারণা করতে পারে৷
৩. নকল এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সফটওয়্যারের সাহায্যে মেশিনে টাইপ করা আপনার পাসওয়ার্ডটি প্রতারকরা জেনে ফেলতে পারে৷
বিপদ থেকে বাঁচার উপায় কী?
১. প্রতিটা লেনদেনের তথ্য আপনি যাতে ই-মেল বা এসএমএস-এর মাধ্যমে জেনে যেতে পারেন, সেই পরিষেবা গ্রহণ করুন৷
২. নিয়মিত কার্ড ও ব্যাঙ্ক ব্যালান্সে কোনও অসঙ্গতি আছে কি না তা যাচাই করে দেখুন৷
৩. নিজের যোগাযোগের ঠিকানা আপডেটেড রাখুন ব্যাঙ্কে৷
৪. ফিশিং অ্যাটাক রুখতে ফিল্টার ব্যবহার করুন৷ ই-মেলে আসা লেনদেন সংক্রান্ত কোনও লিংকে ক্লিক করবেন না৷
৫. শক্তিশালী অথচ মনে রাখা যায় এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন ও নিয়মিত তা বদলে দিন৷ ক্রেডিট কার্ড সংস্থাগুলিকে তথ্য দেওয়ার বিষয়ে সংযত থাকুন৷
৬. ভিড় আছে এমন এটিএম কাউন্টার ব্যবহারের সময়ে সজাগ থাকুন৷ এসব জায়গায় প্রতারকদের উপস্থিতি সহজ হয়৷ ডিভাইজ লাগানো আছে এমন এটিএম ব্যবহার করতে বাধ্য করার জন্য তারা এলাকার অন্য এটিএমগুলিকে অকেজো করে দিতে পারে৷
৭. সবসময় নিজের পিন সুরক্ষিত রাখুন৷ পিন কাউকে জানাবেন না৷ পিন ব্যবহারের সময় কিবোর্ড আড়াল করুন৷ ৮. কাউন্টারের আশেপাশে সন্দেহজনক কিছু দেখলে পুলিশকে জানান৷
নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই নিয়মগুলি মানলে নিরাপদ লেনদেন সম্ভব৷ আর কী! সুরক্ষিত থাকুন!
The post এটিএম-এ বিপদ ও বাঁচার উপায় appeared first on Sangbad Pratidin.