shono
Advertisement

বিয়ের দিন কনেকে ফেলে প্রেমিকার সঙ্গে চম্পট যুবকের, নাটকীয় পরিণতি পাত্রীর

ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য।
Posted: 09:18 AM Mar 10, 2021Updated: 11:00 AM Mar 10, 2021

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। প্রেম একজনের সঙ্গে। আবার বিয়ে ঠিক হয়েছিল অন্য এক যুবতীর সঙ্গে। বিয়ের জন্য নগদ দু’লক্ষ টাকা ও মোটরবাইক পণও নিয়েছিলেন। পেশায় আবার যিনি রাজ্য পুলিশের হোম গার্ড। সেই ‘গুণধর’ যুবক বিয়ের দিন ঘটালেন আজব কাণ্ড। কনেকে ছেড়ে পুরনো প্রেমিকাকে নিয়েই চম্পট দিলেন। এমন পরিস্থিতিতে লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে ওই যুবতীকে বাঁচিয়ে দেন এক সিভিক পুলিশ।

Advertisement

লোকলজ্জার হাত থেকে যুবতীকে রক্ষা করে এলাকার প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওই সিভিক পুলিশ। তবে এই উদ্যোগের নেপথ্যে কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব সরকার। তিনি যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, তাতে খুশি ও কৃতজ্ঞ স্থানীয়রা।

[আরও পড়ুন: করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত দুবাই ফেরত করিমপুরের যুবক হাজির বিয়েবাড়িতে, আতঙ্কে পড়শিরা]

জানা গিয়েছে, কুমারগ্রাম (Kumargram) থানার দুর্গাবাড়ি এলাকার রাসু দাসের মেয়ে পাপিয়ার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের পাঁচকোলগুড়ি এলাকার মিন্টু বর্মন নামে এক যুবকের। পেশায় হোমগার্ড মিন্টুর বিয়ের পণ বাবদ নগদ দুই লক্ষ টাকা, মোটরবাইক-সহ সোনার গয়নার দাবি ছিল। সোমবার রাতে ছিল বিয়ে। কথা অনুযায়ী, টাকা এবং মোটরবাইক বিয়ের আগেই নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিপত্তি ঘটল বিয়ের দিন সন্ধেয়। প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান মিন্টু। রাসুবাবুর বাড়িতে এ খবর পৌঁছতেই তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কান্নায় ভেঙে পড়েন কনে। কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব সরকারের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এরপরেই পাপিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়ে ওঠেন ওই পুলিশ কর্তা।

সোমবার রাতে কুমারগ্রাম থানায় কর্মরত ধীরেশ রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে বিয়েতে রাজি করান তিনি। থানায় ডেকে আনেন তাঁর বাড়ির লোকেদের। দুই পক্ষকে বসিয়ে আলোচনা হয়। তাঁরা বিয়েতে রাজি হওয়ার পরই ধীরেশের সঙ্গে পাপিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করেন তিনি। ধুমধাম করেই বিয়ে হয়। সেদিন রাতেই মিন্টু বর্মনকে দেওয়া পণের ২ লক্ষ টাকা ও মোটরবাইক উদ্ধার করে আনে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ। নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা করে নবদম্পতিকে আশীর্বাদও করেন বাসুদেববাবু।

[আরও পড়ুন: অপসারিত রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, কমিশনের নির্দেশে দায়িত্ব নিচ্ছেন নীরজনয়ন]

পাপিয়ার বাবা কৃতজ্ঞ রাসুবাবু বলেন, “আমার মেয়েকে যেভাবে কুমারগ্রামের বাসুদেববাবু লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে বাঁচালেন, সে ঋণ কোনওদিন শোধ করতে পারব না।” বাসুদেব সরকারের কথায়, এমন বিপদে পড়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সামান্য সাহায্যটুকু করেছেন মাত্র। এটা তাঁর কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার