সুব্রত বিশ্বাস: চলছিল রেললাইন মেরামতির কাজ। তাই ট্র্যাকের উপরই দাঁড়িয়েছিল ট্রলি (Trolley)। হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশ্যাল এক্সপ্রেস সোজা গিয়ে ধাক্কা দিল ওই ট্রলিতে (Trolley)। সাঁতরাগাছিতে (Santargachi) এই দুর্ঘটনায় বড়সড় বিপদ এড়াল আপ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশ্যাল এক্সপ্রেস। ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেনি, তবে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ফের উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্ন।যদিও দুর্ঘটনা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কোনও কর্তা।
ঘড়িতে সময় প্রায় সাড়ে ১১টা। হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে ছেড়েছিল সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশ্যাল ট্রেনটি। সাঁতরাগাছির কাছে এসে আচমকাই দুর্ঘটনা (Train accident)। রেলট্র্যাকের উপর দাঁড়িয়েছিল একটি ট্রলি। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। ফলে ট্রেনটি এসে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রলিতে। ব্যাপক ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায় ট্রেন। যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পডুন: তথ্য গোপনের অভিযোগ, নন্দীগ্রামের পর ভবানীপুরেও মমতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির]
দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আটকে ছিল ট্রেনটি। দাঁড়িয়ে পড়ে অন্যান্য ট্রেনও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলিটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রেলের আধিকারিকরা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। যদিও কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে মুখে কুলুপ রেলকর্তাদের। দক্ষিণ-পূর্ব রেলসূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত হবে। তারপরই কারণ স্পষ্ট হবে।
[আরও পডুন: রেলের অস্থায়ী কর্মীদের ৪৫ লক্ষ টাকা প্রতারণা, হাওড়া স্টেশনে গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতা]
তবে এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠেছে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। প্রথমত, কোনও ট্রেন যাওয়ার পথে কেন ট্রলি ছিল? দ্বিতীয়ত, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন কেন ট্রেনটিকে ওই ট্র্যাকে পাঠানো হল? আর তৃতীয়ত, যদি কাজই চলে তাহলে ট্রেন থামানোর সিগন্যাল কেন দেওয়া হয়নি? রেলকর্মীদের উদাসীনতারও অভিযোগ উঠেছে। তবে এত প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনও। এ ধরনের দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। তবে তা বিরল বলেই রেলসূত্রে খবর।