সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি রাকেশ রোশনের ছেলে। কিন্তু স্টার কিড বলে যে সুবিধা পাওয়া যায় বলে শোনা যায়, হৃতিক সেসব পাননি। কারণ প্রথম থেকেই তার জীবনে একটি বড়সড় সমস্যা ছিল। হৃতিকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে সেই সমস্যার সঙ্গেই। অবশেষে তাদের জীবন থেকে দূরে সরিয়ে ২০০০ সালে পর্দায় আত্মপ্রকাশ আর প্রথম ছবিতেই স্টারের তকমা। বলিউডের গ্রিক গডের এহেন গল্প এবার স্থান পেল তামিলনাড়ুর ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে।
সম্প্রতি একটি ট্যুইট থেকে এই খবর প্রকাশ্যে আসে। অরুণা মহেন্দ্রন নামে এক মহিলা সম্প্রতি একটি ট্যুইটে জানিয়েছেন, ভাইঝির পাঠ্যবই ওলটাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই একটা পাতায় তাঁর চোখ আটকে যায়। এটি ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে হৃতিক রোশনের নাম খুঁজে পান তিনি। লেখাটি আত্মবিশ্বাস সম্পর্কিত। ওই মহিলা তাঁর ট্যুইটে লিখেছে, ‘তাঁর থেকে ভাল আত্মবিশ্বাসের পাঠ আর কে দেবে?’
[ আরও পড়ুন: আক্রান্তের সঙ্গে লিফটে বন্দি সাতজন, ভাইরাসের ভয়াবহতার গল্প পর্দায় তুলে ধরবে ‘করোনা’ ]
ছোটবেলায় হৃতিকের তোতলামির সমস্যা ছিল। নিজের চেষ্টাতেই সেসব কাটিয়ে ওঠেন তিনি। একবার সেই গল্প অনুরাগীদের শুনিয়েওছিলেন। বলেছিলেন, তিনি যখন ছোট ছিলেন, তখন তাঁরও তোতলামির সমস্যা ছিল। দিনের পর দিন এর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি। স্পিচ থেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়েছেন। একই কথা বলেছেন হৃতিকের বোন সুনয়নাও। তিনি বলেছিলেন, হৃতিকের যখন ১৩ বছর বয়স, তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়তেন তিনি। কখনও কখনও বাথরুমেও চলত অনুশীলন। সকাল-বিকেল সবসময়ই ওই একই কাজ করতেন হৃতিক। নিজেই নিজের কথা রেকর্ড করতেন, বাজাতেন, শুনতেন। পছন্দ না হলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলত। এভাবেই চলেছিল ২২ বছর। হিন্দির উপর বেশি জোর দিতেন হৃতিক। যে শব্দগুলো তাঁর মনে হত ঠিকভাবে উচ্চারিত হচ্ছে না, সেগুলি একটি বোর্ডে লিখে রাখতেন। সুযোগ পেলেই ওই শব্দগুলো নিজের মনেই বলতেন। এভাবেই নিজের সমস্যাকে জয় করে আজ তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা। অভিনেতার সেই গল্পই উঠে এসেছে তামিলনাড়ুর ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে।
[ আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় মার্চ মাসের পুরো রোজগার ত্রাণ তহবিলে দিলেন ইউটিউবার ভুবন বাম ]
The post সিলেবাসে হৃতিক রোশন, পাঠ্যবইয়ে উঠে এল অভিনেতার অক্ষমতাকে জয় করার গল্প appeared first on Sangbad Pratidin.