সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: ভোটের ঠিক মুখেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির মশলা ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী উদ্ধার করল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ। মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখনতলায় এক ব্যক্তির বাড়ি ও গোডাউন থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় এই প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরকের মশলা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই বিস্ফোরক তৈরির সামগ্রী মজুতকারীকেও।
[আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের দৈনিক কোভিড গ্রাফ, ফের নিম্নমুখী সুস্থতার হার]
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ডেপুটি পুলিশ সুপার (শিল্প) মিতুন দে ও মহেশতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শুভেন্দু সরকারের নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশবাহিনী মঙ্গলবার গভীর রাতে হানা দেয় মহেশতলা থানার বরখনতলার জনৈক তরুণ দাসের বাড়ি ও গোডাউনে। তাঁর স্ত্রী প্রথমে পুলিশকে তল্লাশির কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু একরকম বাধ্য হয়েই শেষমেষ তিনি গোদামের চাবি তুলে দেন তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। ওই ব্যক্তির বাড়ি ও গোদামে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা উদ্ধার করেন ওই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির মশলা ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী। বাজেয়াপ্ত হওয়া বিস্ফোরক তৈরির মশলার মধ্যে রয়েছে ৯০০ কেজি নাইট্রেট গ্রুপের সাদা রঙের পাউডার, ৪৮০ কেজি রুপোলি রঙের বারুদের মশলা, ১২৫০ কেজি সোডা ও ১০ কেজি বেরিয়াম কার্বনেট।
তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের এই বিপুল পরিমাণ বারুদ ও বিস্ফোরক তৈরির আনুষঙ্গিক সামগ্রী মজুত রাখার অভিযোগে তরুণ দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে ২৫/২৭ আর্মস অ্যাক্ট ও ৪/৫ এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। ধৃতকে বুধবার আলিপুর আদালতে পাঠানো হয়। কী উদ্দেশ্যে এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী তিনি মজুত করেছিলেন তা জানতে ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বাজেয়াপ্ত সামগ্রী ব্যবহার করে যে কোনও ধরণের বিস্ফোরক তৈরি করা সম্ভব। তাই ভোটের আগে এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির মশলা উদ্ধার জেলা পুলিশের এক বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছেন তিনি। এদিকে, বুধবার বীরভূমের নানুরেও বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া, উলুবেরিয়ায় এদিন এক বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন তিন ব্যক্তি।