সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুগ বদলালেও গুপ্তধনের (Hidden Treasure) খোঁজার নেশা ফুরবে না মানুষের! কেবল গল্পে না, বাস্তব জীবনেও। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পান্না জেলায় (Panna District) নির্মীয়মাণ বাঁধে হিরের (Diamond) সন্ধানে মাটি খুঁড়ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। অবস্থা এমন যে পাশের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকেও অসংখ্য মানুষ কোদাল, বেলচা নিয়ে হাজির হচ্ছেন এলাকায়। সকলেই ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখছেন। কিন্তু হঠাৎ হিরের খোঁজ কেন?
স্থানীয় রুঞ্ঝ নদীর উপরে আট কিলোমিটার জুড়ে বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন। এর ফলে চলতি বছরেই প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ পরিষেবা চালু করা যাবে আসা প্রশাসনের। ওই চত্বরেই হিরের খোঁজে লেগে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। আসলে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি ভিডিও ভাইরাল (Video Viral) হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয় বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত এক কন্ট্রাক্টর হিরে পেয়েছেন। এই খবর রটে যায় আগুনের মতো। তারই ফলাফল পড়শি রাজ্য থেকেও গুপ্তধনের সন্ধানে শয়ে শয়ে মানুষের আগমন।
[আরও পড়ুন: শ্যাম্পু করতে গিয়ে ‘বিউটি পার্লার স্ট্রোক’-এ আক্রান্ত মহিলা, জানেন কী এই রোগ?]
এলাকাটি সেচ দপ্তরের আওতায়। ফলে আড়াই ফুট জমি খোঁড়ায় বাধা নেই। এই কারণে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হলেও মাটি খুঁড়তে বাধা দেয়নি হচ্ছে না। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসন। গত ১৫দিন একাধিক কারণে শতাধিক বাইক আটক করেছে পুলিশ। এতদ সত্বেও গুপ্তধনের সন্ধানে মাটি খুঁড়তে ব্যস্ত এক ব্যক্তি বলেন, “এখানে হিরে পাওয়ার খবর পেয়ে এসেছি। জানি না কী হবে। ভাগ্য পরীক্ষা করতে চলে এলাম। আড়াই ফুট খুঁড়ে দেখছি।”
[আরও পড়ুন: লটারিতে ২৪৮ কোটি টাকা জিতেও স্ত্রীকে জানালেন না যুবক, কেন জানেন?]
প্রসঙ্গত, পান্না জেলার মাজগানওয়াতে কয়লার খনি ছিল। পরিবেশ সংক্রান্ত কারণে ৬০ বছর পুরনো খনিটিকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে ওই এলাকার হিরে পাওয়ার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৭৭.৭২ ক্যারেটের একটি হিরে পাওয়া গিয়েছিল মাজগানওয়াতে।