সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্যাকসিন পাসপোর্ট (Vaccine Passport) নিয়ে এবার জি-৭ বৈঠকে মুখ খুললেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধন। গোটা বিষয়টির বিরোধিতা করে শুক্রবার তিনি বৈঠকে স্পষ্ট জানালেন, এই পদক্ষেপ খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। ভারত ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বিষয়টি সমর্থন করে না। কারণ এই পদ্ধতি চালু হলে বিদেশ সফরে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বেন ভারতীয়রাই। কারণ এখনও গোটা দেশের জনসংখ্যার নিরিখে মাত্র ৩ শতাংশেরই ভ্যাকসিনেশন হয়েছে।
চলতি মাসেই ব্রিটেনে বসবে জি-৭ বৈঠক। তার আগে বিশ্বের সাত ধনী দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা অতিমারী মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন সমবণ্টন নিয়ে বৈঠকটি ডাকা হয়েছিল। অতিথি দেশ হিসেবে উপস্থিত ছিল ভারতও। সেখানেই হর্ষবর্ধন বলেন, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ধনীদেশগুলির জন্য ঠিক আছে। কিন্তু উন্নয়নশীল, গরিব কিংবা পিছিয়ে পড়া দেশগুলির জন্য ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নয়। তাঁদের কাছে এই পদক্ষেপ চূড়ান্ত বৈষম্যমূলক। বৈঠকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, অতিমারীর এই পরিস্থিতিতে এখনই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করা উচিত নয়। কারণ উন্নয়নশীল অনেক দেশই ঠিক মতো ভ্যাকসিনেশন শুরু করতে পারেনি। ভ্যাকসিনের যোগান, সরবরাহ এখনও সব দেশের ক্ষেত্রে সমানভাবে হয়নি। তাই এই পদক্ষেপ ওই দেশগুলির পক্ষে খুবই বৈষম্যমূলক হবে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বখ্যাত পত্রিকা ‘ভোগ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে মালালার মত ঘিরে বিতর্ক]
কিন্তু কী এই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট? এটি একটি ডিজিটাল হেলথ পাস। যা মিলবে বিশেষ কিছু অ্যাপের মাধ্যমে। করোনা সংক্রমণ ও টিকার সংক্রান্ত সমস্তু খুঁটিনাটি থাকবে এই অ্যাপে। অর্থাৎ আপনি সংক্রমিত হয়েছেন কিনা, টিকা নেওয়া আছে কিনা, টিকা নিলে কতদিন আগে তা নিয়েছেন। এরকম সমস্ত তথ্যই থাকবে এই অ্যাপে। সেই তথ্য নিয়েই তৈরি হবে ডিজিটাল হেলথ পাস ভ্যাকসিন পাসপোর্ট। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোথাও বেড়াতে গেলে কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চ, সিনেমা হল, অফিস কাছারিতেও বাধ্যতামূলক হবে এই অ্যাপ। ঠিক যেমন ভাবে বিদেশ সফরে পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়, তেমনই এই ভ্যাকসিন পাসপোর্টও বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই পাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ কার্যকর হবে না। কারণ প্রতিষেধক নেওয়ার পরও পুনঃসংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।