সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরিয়া চেষ্টা করেও রাজস্থানে দলের গোষ্ঠীকোন্দল আড়াল করতে পারছে না কংগ্রেস। দিন কয়েক আগে পাইলট এবং গেহলটের যে খেয়োখেয়ি শুরু হয়ে হয়েছিল, সেটা এবার প্রকাশ্যে রাস্তায় চলে এল। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাতে গিয়েই কংগ্রেস (Congress) কর্মীরা স্লোগান দিলেন, ‘হামারা সিএম ক্যায়সা হো, শচীন পাইলট জ্যায়সা হো।’
রাজস্থানে পাইলট-গেহলট দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ২০২০ সালে পাইলটের (Sachin Pilot) বিদ্রোহ কোনওক্রমে সামাল দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে এই বিবাদের সূত্রপাত হয়, পাইলট সমর্থকরা হাই কম্যান্ডের উপর চাপ বাড়ানো শুরু করার পরই। আসলে অশোক গেহলটের কংগ্রেস সভাপতি হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই পাইলট শিবির ধরে নিয়েছিল, এবার হয়তো রাজস্থানের মসনদে বসার সুযোগ পাবেন তাঁদের নেতা। কিন্তু শেষমেশ দলের বিধায়কদের বিদ্রোহে সেটা হয়নি। গেহলট (Ashok Gehlot) কংগ্রেস সভাপতিও হননি, পাইলট মুখ্যমন্ত্রিত্বও পাননি। মাঝখানে দলের অন্দরে বিদ্রোহের যে আঁচ ধিকিধিকি জ্বলছিল, সেটা বিধ্বংসী আগুনে পরিণত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উড়িয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় স্থানে ভারত, কতটা কঠিন ফাইনালের রাস্তা?]
ভোটের ঠিক আগে আগে সেই বিদ্রোহ সামাল দিতে নাজেহাল হাত শিবির। এমনকী রাহুল গান্ধী পথে নেমেও দুই যুযুধান শিবিরকে সামলাতে পারছেন না। রাহুলের (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রা এখন রাজস্থানেই। কখনও গেহলট তাঁর সঙ্গে হাঁটছেন, আবার কখনও পাইলট তাঁর সঙ্গে হাঁটছেন। প্রকাশ্যে ঐক্যের কথা বললেও রাহুলের সামনে দুই নেতাই নিজেদের শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছেন। যা মাঝে মাঝেই কংগ্রেসের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেমনটা হল রবিবার। রাজস্থানের দৌসা এলাকায় রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) যাওয়ার সময় হঠাতই পাইলটের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। বলতে থাকেন, ‘হামারা সিএম ক্যায়সা হো, শচীন পাইলট জ্যায়সা হো।’ অর্থাৎ, আমরা মুখ্যমন্ত্রী চাই শচীন পাইলটকেই। রাহুল গান্ধী এবং শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের অনতিদূরেই এই স্লোগান তোলা হচ্ছিল। সেই ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ক্যামেল ভাইরাস আতঙ্ক কাটিয়ে ফিট গ্রিজম্যানরা, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পুরো দল নামাবে ফ্রান্স]
মজার কথা হল, দিন দুই আগে রাহুল নিজেই বলেছেন, দলের অন্দরে কেউ নিজের বক্তব্য বলতেই পারেন। কারও ব্যক্তিগত মান-অভিমান প্রকাশ করতেই পারেন। কংগ্রেস তাতে বারণ করে না। তবে এমন কিছু বলা যাবে না, যাতে দলের ক্ষতি হয়। তারপরই রাহুলের সামনে কর্মীদের এই বিক্ষোভ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।