সুকুমার সরকার, ঢাকা: গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত সুদান। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে আগুন জ্বলছে আফ্রিকার দেশটিতে। আর এই সংঘর্ষে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার বিদেশি নাগরিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকরাও। এবার সুদানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া ৫৫৫ জন বাংলাদেশি নাাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।
বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, চারটি বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের পাঁচশো পঞ্চান্ন জন নাগরিরকে সৌদি আরবের জেদ্দায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার তিনটি ফ্লাইট এবং কাল আরেকটি ফ্লাইটে তাঁদের জেড্ডায় নেওয়া হবে। বিদেশমন্ত্রকে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে এ তথ্য জানান বিদেশমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধ সব রেলপথ চালুর প্রতিশ্রুতি রাজশাহির সহকারী হাই কমিশনারের]
সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর সুদান থেকে জেড্ডা হয়ে ১৩৬ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তাঁরা দেশে ফেরেন। সবমিলিয়ে, সুদানে বাংলাদেশের প্রায় দেড় হাজার নাগরিক বসবাস করেন। এর মধ্যে যাঁরা দেশে ফেরার জন্য আবেদন করেছেন, পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেড্ডার বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
উল্লেখ্য, সুদানের (Sudan) বর্তমান ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরই দুই জেনারেল-সেনাপ্রধান আবদেল আল ফতা আল বুরহান ও জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য। দু’জন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে।
এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকে চলা লড়াইয়ে যুযুধান দুই পক্ষের কেউই সংঘর্ষবিরতি মানছে না। রক্তক্ষয়ী ক্ষমতার লড়াইয়ে গত কয়েক দিন পশ্চিমের দারফুর এলাকায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী খারতুমেও প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই।