shono
Advertisement

যৌন নিপীড়নে দোষীকে ক্ষমা, জনরোষের মুখে পড়ে ইস্তফা হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের

তিনিই ছিলেন সেদেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট।
Posted: 12:35 PM Feb 11, 2024Updated: 12:36 PM Feb 11, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুদের যৌন নির্যাতনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তিকে ক্ষমা করায় প্রবল জনরোষের মুখে হাঙ্গেরির (Hungary) প্রেসিডেন্ট। পরিস্থিতি এমন গড়াল, ইস্তফা দিলেন ক্যাটলিন নোভাক। তিনিই ছিলেন সেদেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট। ২০২২ সালের মার্চে তিনি স্থলাভিষিক্ত হন।

Advertisement

এক টিভি বার্তায় ক্যাটলিন জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর কথায়, ”আমার ক্ষমা প্রদর্শনের ঘটনা বহু মানুষের বিভ্রান্তি ও অস্থিরতার কারণ হয়েছে। আমি ভুল করেছি।”

[আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইমের শিকার মহেশবাবুর মেয়ে, বেজায় ক্ষুব্ধ সুপারস্টার, দিলেন হুঁশিয়ারি]

প্রসঙ্গত, সরকারি হোমে শিশুদের যৌন নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তিকে ক্ষমা করাতেই তিনি জনরোষের মুখে পড়েছেন। ২০১৮ সালে ওই অপরাধীকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। হোমটির প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। অভিযোগ, নিজের ‘বসে’র অপরাধ ঢাকতে চেষ্টা করছিলেন তিনি। নিগৃহীত শিশুদের উপরে মামলা তুলতে চাপ দেওয়ার কথাও জানা গিয়েছে। এহেন অপরাধীকে ক্ষমা করেছেন প্রেসিডেন্ট, এই খবর সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্টের ভবনের বাইরেও প্রতিবাদ দেখান প্রতিবাদীরা। যদিও গত বছরের এপ্রিলে ওই অপরাধীকে ক্ষমা করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১০ মার্চ হাঙ্গেরির প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ক্যাটলিন। তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। হাঙ্গেরিতে প্রেসিডেন্টের ভূমিকা আনুষ্ঠানিক। অপরাধীদের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামতে হয়েছে অরবানকে। সেদেশের সংবিধানে সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকারকে খর্ব করার কথা বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রিয় মানুষকে প্রমিস করার আগে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই ৬টি বিষয়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement