অর্ণব দাস, বারাসত: ঝগড়াঝাঁটির মাঝে দিনেদুপুরে স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুনের (Murder)মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা করায় জখম হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর (Duttapukur) থানা এলাকার সুভাষনগরের। মৃতের নাম মায়ারানি দাস, বয়স ৫৫ বছর। জখম স্বামী প্রেমানন্দ দাস ভরতি বারাসত হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
দত্তপুকুর থানার সুভাষনগর এলাকার বাসিন্দা প্রেমানন্দ দাস ও তাঁর স্ত্রী মায়ারানি দেবী। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। বিবাদের মাঝে স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে আত্মঘাতী (Attempt to suicide) হওয়ার চেষ্টা করেন প্রেমানন্দবাবু। প্রতিবেশী এক মহিলা সকালে ছাদে উঠলে মায়ারানি দেবীর চিৎকার শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে নিচে এসে দেখতে পান, উপুড় হয়ে খাটে শুয়ে রয়েছেন মায়ারানি।
[আরও পড়ুন: ‘পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ’, এবার মমতা-অভিষেকের যৌথ ছবি দিয়ে নতুন পোস্টার শহরে]
এরপর তিনি চিৎকার করে লোকজনকে ডাকলে এলাকার লোকজন এসে দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দু’জনেই। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় নীলগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশকে, ঘটনায় চলে এসে পৌঁছয় নীলগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিকরা। দু’জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে। চিকিৎসকরা মায়ারানি দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রেমানন্দ দাসের বারাসত হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি, বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হত।
[আরও পড়ুন: হারানো টিয়ার খোঁজে থানায় অভিযোগ মালিকের, দু’সপ্তাহ পর বর্ধমান থেকে উদ্ধার পোষ্য]
দাস দম্পতির মেজো মেয়ে রীতা মণ্ডল জানাচ্ছেন, ”মা থাকত দিদির বাড়িতে। ভাঙাচোরা বাড়ি তো, তাই। ছেলে বাড়ি থাকত না বলে মা একা থাকতে পারত না, তাই দিদি বা বোনের কাছে থাকত। মা-বাবার ঝগড়াঝাঁটি হত ঠিকই। আমাদের কোনও ধারণা নেই কেন এমন হল। স্থানীয় সমাজকর্মী কিঙ্কর বণিক বলছেন, ”আসলে করোনা কালে সংসারে আয় কমে যাওয়ায় ঝগড়াঝাঁটি বাড়ছিল তাঁদের মধ্যে। অনেক পরিবারেই এমনটা হয়েছে। আজ সকালে প্রেমানন্দ বাবু সম্ভবত লোহার কিছু নিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেছেন। তারপর আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।”