বাবুল হক, মালদহ: স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে ওড়িশার কালাহান্ডিতে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছিল স্বামীকে। জলপাইগুড়িতে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটেছিলেন যুবক। কালিয়াগঞ্জে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ব্যাগে সন্তানের দেহ নিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। প্রায় সেই একইরকম করুণ ঘটনার সাক্ষী মালদহ। অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু মহিলার। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন।
জানা গিয়েছে, বছর উনিশের মামনি রায়, মালদহের বামনগোলার গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের মালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে কার্তিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বছর দুয়েকের সন্তানও রয়েছে দম্পতির। দিনকয়েক ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। জ্বর হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। মামনিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরের মোদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করার কথা ভাবা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজখবর করতে থাকেন মামনির স্বামী কার্তিক। মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। এমনকী টোটোও পাননি বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র রেশ কাটতেই কমল তাপমাত্রা, বঙ্গে কবে পড়বে জাঁকিয়ে শীত?]
মামনির পরিবারের দাবি, মালডাঙার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। বারবার সংস্কারের দাবি জানানোই সার। পথ অবরোধ, বিক্ষোভ, প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। তাই অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি। আর অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে বাধ্য হয়ে শুক্রবার মামনিকে খাটিয়ায় শুইয়ে দড়ি বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো মুর্মুর্ষু স্ত্রীকে নিয়ে বেরন কার্তিক। তবে পথেই মৃত্যু হয় মামনির। বিজেপির উত্তর মালদার সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বীণা কীর্তনীয়া সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করেন। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেত্রী। রাজ্য সরকারের ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের আদৌ কোনও কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ তাঁর।
দেখুন ভিডিও: