ধীমান রায়, কাটোয়া: স্ত্রী রেণুর (Renu Khatun) চাকরি নিয়ে নাকি কোনও আপত্তিই ছিল না কেতুগ্রামের সরিফুলের। বরং তার দাবি, রেণু অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। দিনভর ছেলেটির সঙ্গে চ্যাট করতেন। স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলার ভয়েই নাকি হাত কেটে নিয়েছিল শরিফুল। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় ফের একই দাবি করল অভিযুক্ত সরিফুল। ইতিপূর্বে আদালতেও একই কথা জানিয়েছিল সে। তার কথা শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, এখনও নিজেকে বাঁচাতে সাফাই দিচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেতুগ্রামের নার্স রেণু খাতুনও।
স্ত্রীর কবজি কাটার ঘটনার শনিবার পুনর্নির্মাণ করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শেখ শরিফুল ওরফে শের মহম্মদ শেখ-সহ চারজনকেই আনা হয়েছিল রেণুর শ্বশুরবাড়িতে। সেদিন কীভাবে কুকর্ম ঘটিয়েছিল তারা, এদিন তা পুলিশের সামনে অভিনয় করে দেখায়। এর মাঝেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তোলে শরিফুল।
[আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’র অনুকরণ! এবার চাকরির দুর্নীতি খুঁজতে নয়া কর্মসূচি দিলীপ ঘোষের]
মূল অভিযুক্তর অভিযোগ, “সবাই বলছে চাকরি পাওয়ার জন্য হাত কেটে নিয়েছ। এটা হতে পারে? যার চাকরি পাওয়ার জন্য এত লড়াই করলাম, তাঁর সঙ্গে এরকম করব?” এর পরই তার দাবি, “আসলে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছিল ও। অনেকবার বুঝিয়েছিলাম। রেণুর বাড়িও জানত বিষয়টা।” শরিফুলের কথা বিশ্বাস করতে নারাজ পুলিশ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই। তাঁদের দাবি, স্রেফ নিজেকে বাঁচাতে এসব বলছে শরিফুল।
অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেতুগ্রামের নার্স রেণু খাতুন। তাঁর কথায়, “নিজেকে বাঁচাতে এসব বলছে। আমার কারোর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না।” রেণুর আরও দাবি, “আমাকে চাকরি করতে না দেওয়ার জন্য ডানহাত কাটা হয়েছে। আর কোনও কারণ ছিল না।”
যে ঘরে রেণুকে ধরে নৃশংসভাবে তার ডানহাতের কবজি কেটে নেওয়া হয় প্রায় ১৪ দিন পর সেই ঘরটি শনিবার খোলা হল। দেখা যায়, শ্বশুরবাড়িতে রেণুর শোওয়ার ঘরের দেওয়ালে এখনও রক্তের দাগ। এই ঘরেই অভিযুক্ত শেখ শরিফুল ওরফে শের মহম্মদ শেখ-সহ চারজনকে নিয়ে এসে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। সেই রাতে কীভাবে রেণুর হাতের কবজি কাটা হয়েছিল তা অভিনয় করে দেখায় অভিযুক্তরা। ঘটনার সময় কার কী ভূমিকা ছিল তা সবই পুলিশকে অভিনয় করে দেখায় ধৃতরা।