হায়দরাবাদ-০
মোহনবাগান-০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবার এই হায়দরাবাদের (Hyderabad) কাছে হেরেই ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। এবার কি ফেরান্দোর ছেলেরা পারবেন গতবারের হারের বদলা নিতে? বৃহস্পতিবারের প্রথম সাক্ষাতে অবশ্য মোহনবাগান ও হায়দরাবাদের খেলা শেষ হল গোলশূন্যভাবে। হায়দরাবাদের গুহায় গিয়ে হায়দরাবাদের সঙ্গে ড্র করা সহজ নয়। দুই দলের গোলকিপার ও রক্ষণভাগ পরীক্ষা দিল। মোহনবাগান ও হায়দরাবাদ একাধিকবার গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু চা পানের সময়ে ঠোঁট ও পেয়ালার মধ্যে যে দূরত্ব থাকে, এক্ষেত্রেও সেই ব্যবধান থেকে গেল। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চলতি মাসের ১৩ তারিখ ফের মুখোমুখি হবে মোহনবাগান ও হায়দরাবাদ। সেই ম্যাচে দুই দলের কোচই হাতের সব তাস ফেলবেন। যে দল জিতবে সেই দল ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলবে।
ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন বিশাল কাইথ। পুরো সময় মাঠে থাকতে পারেননি তিনি। এদিন মোহনবাগানের বারের নীচে দাঁড়িয়ে দুরন্ত খেলেন বিশাল। খেলার প্রথমার্ধে জোয়েল হেডে বিষ ঢেলেছিলেন। বিশাল কাইথ শরীর ছুঁড়ে সেই যাত্রায় বল বিপন্মুক্ত করেন। তার কিছুক্ষণ পরেই সেই জোয়েলের হেড সরাসরি বিশাল কাইথের হাতে। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল মোহনবাগান। প্রীতম কোটালের হেড হায়দরাবাদের বারে লেগে সেযাত্রায় প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে।
[আরও পড়ুন: ‘দাদা রান করো, না হলে বাদ পড়তে হবে’, সৌরভকে বলেছিলেন বীরু!]
দ্বিতীয়ার্ধে মনবীর প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। হায়দরাবাদের গোলকিপার গুরমীত সিং চাহালকে সামনে পেয়ে মনবীর তাঁর শরীরে মারেন। গোলের সোনার সুযোগ নষ্ট করেন মনবীর। হায়দরাবাদও অবশ্য গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল। ইয়াসিরের শট মোহনবাগানের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। রেফারির শেষ বাঁশির কিছু আগে পেত্রাতোস দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন হায়দরাবাদের গোল লক্ষ্য করে। গোলটি হয়ে গেলে দুরন্তভাবে শেষ করত মোহনবাগান। কিন্তু কাঙ্খিত গোলটাই এল না। এদিনের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় যুবভারতীর ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল।