সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট ছোট চালের দানা। তার মধ্যেই খোদাই করা ভগবত গীতার সমস্ত শ্লোক। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর এই কীর্তি করে দেখিয়েছেন তেলেঙ্গানার (Telengana) এক আইনের ছাত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই কীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
জানা গিয়েছে, পুরো ভগবত গীতার (Bhagavad Gita) শ্লোক লিখতে ৪ হাজার ৪২টি চালের দানা ব্যবহার করেছেন রামাগিরি স্বারিকা নামে ওই ছাত্রী। সবমিলিয়ে সময় লেগেছে ১৫০ ঘণ্টা। এমনকী ব্যবহার করেননি আতস কাঁচও। এই প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা ANI-কে স্বারিকা বলেন, ‘‘এটি আমার সর্বশেষ কাজ। আমি চার হাজার ৪২টি চালের দানায় ভগবত গীতার সমস্ত শ্লোক লিখেছি। গোটা কাজটি করতে ১৫০ ঘণ্টা সময় লেগেছে।’’ তবে রামাগিরির এবার লক্ষ্য জাতীয় স্তরে স্বীকৃতি পাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও সুনাম অর্জন করা।
[আরও পড়ুন: পিপিই কিট পরে কোভিড ওয়ার্ডেই দেদার নাচ! ইন্টারনেট মাতাচ্ছেন ডান্সার ডাক্তারবাবু]
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘ছোট থেকেই শিল্প এবং সংগীতের প্রতি তাঁর বিশেষ আকর্ষণ ছিল। এজন্য বহু পুরস্কারও পেয়েছি। চার বছর আগে থেকে আমি এই মাইক্রো আর্ট তৈরি করছি। এর আগে একটি চালের দানায় গনেশের ছবি কিংবা একটি দানাতেই ২৬টি ইংরেজি অক্ষর লিখেছি।’’ এছাড়া বক্তব্যে এটাও জানান, তাঁকেই ভারতের প্রথম মাইক্রো আর্টিস্ট বলা হয়। ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার অব বুকস এবং ২০১৯ সালে নর্থ দিল্লি কালচারাল অ্যাকাডেমি থেকে পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তৈরি করেছেন দু’হাজারেরও বেশি মাইক্রো আর্টওয়ার্ক।
[আরও পড়ুন: ‘আমার পার্টি শেষ’, নিজের শোকবার্তা নিজেই লিখে নেটিজেনদের হৃদয় জিতলেন চেন্নাইয়ের বৃদ্ধ]
সম্প্রতি চুলের মধ্যে ভারতীয় সংবিধানের গোটা প্রস্তাবনা লিখে নজিরও গড়েছিলেন। এজন্য তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তাঁকে সংবর্ধনাও জানিয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল তামিলসাই সৌন্দরাজন পুরস্কারও।