সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ সাল থেকেই ভারতে শুরু হয়েছে ‘আচ্ছে দিন’। তবে দিন বদলে বদলার অভিযোগও বিস্তর। রাষ্ট্রের মদতেই হিন্দুত্ববাদীদের বাড়বাড়ন্ত বলেও দাবি অনেকের। এই প্রেক্ষাপটেই জি-২০ সামিটে মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার প্রসঙ্গে মার্কিন চাপের মুখে পড়তে পারে মোদি সরকার। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
এদিন এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুলিভান। সেখানেই ভারতে মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার ‘খর্ব’ হওয়ার মতো বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। সুলিভানকে প্রশ্ন করা হয়, মানবাধিকার প্রসঙ্গে গত জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফর ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি নিয়ে তিনি কী ভাবেন? উত্তরে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “যে সমস্ত মৌলিক অধিকার, মূল্যবোধ সবসময় মেনে চলে আমেরিকা তা নিয়ে অবশ্যই কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা এটাই করে থাকি। তবে অন্য রাষ্ট্রপ্রধানরা (পড়ুন মোদি) বিষয়টি কোন প্রেক্ষিতে দেখবেন তা আমি বলতে পারি না। কাউকে স্কোরকার্ড দিতে আমি আসিনি।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদি-বাইডেন।
[আরও পড়ুন: ড্রোন থেকে 5G, মোদি-বাইডেন হাইভোল্টেজ বৈঠকে থাকছে আর কী চমক?]
বলে রাখা ভাল, মণিপুর থেকে হরিয়ানা। ভারতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। দিল্লিকে মানবাধিকার খোঁচাও দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দপ্তর। গত মাসেই মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, “যে দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে তাদের সঙ্গে মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমরা বরাবরই আলোচনা করি। অতীতেও ভারতের সঙ্গে আমাদের মানবাধিকার প্রসঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী দিনেও এনিয়ে কথা হবে।”
উল্লেখ্য, মানবাধিকার প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে জবাব তলব করুক হোয়াইট হাউস। এই দাবিতেই গত জুন মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্য। তবে তা মানতে নারাজ বাইডেন প্রশাসন। ধারণা, মানবাধিকার প্রসঙ্গে ভারতকে চাপ দিলে, পালটা কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ কাঁটায় বিদ্ধ হতে হবে ওয়াশিংটনকে। যার হাতে গরম উদাহরণ, পুলিশি অত্যাচারে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু। তবে জি-২০ সামিটে ফের মানবাধিকার প্রসঙ্গ উঠবে কি না, তা সময়ই বলবে।