সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী তাঁর দাদা। কিন্তু সিংহাসনের দাবিদার যদি চরম বিপদে পড়েন? অঙ্গহানির মতো গুরুতর সমস্যায় পড়তে হয় যুবরাজকে? সেই ভেবেই বাবা-মা তাঁর জন্ম দিয়েছিলেন। সদ্যপ্রকাশিত আত্মজীবনীতে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন ব্রিটিশ রাজকুমার হ্যারি (Prince Harry)। দাদা উইলিয়ামের প্রয়োজন হলে তাঁর শরীর থেকেই অঙ্গদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্রিটেনের বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লস, এমনটাই মত হ্যারির। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তিনি আত্মজীবনীর নাম রেখেছেন ‘স্পেয়ার’, অর্থাৎ বাড়তি। কারণ রাজপরিবারের কাছে তিনি বাড়তি সদস্য ছিলেন।
মঙ্গলবার প্রকাশ হয়েছে রাজকুমার হ্যারির আত্মজীবনী। তারপরেই ব্রিটেনে বই বিক্রির একাধিক রেকর্ড ভেঙেছে স্পেয়ার। সেই বইতেই হ্যারি লিখেছেন, “আমার চেয়ে দু’বছরের বড় দাদা উইলিয়ামই (Prince William) সিংহাসনের দাবিদার। তাই আমাকে বাড়তি হিসাবে রাখা হয়েছিল। যদি উইলিয়ামের কিছু হয়ে যায়, সেই কথা ভেবেই আমাকে পৃথিবীতে আনা হয়েছিল। সবসময়ই আমি ছিলাম প্ল্যান বি, উইলিয়ামের ছায়া হিসাবেই বেড়ে উঠেছি।” ব্রিটিশ রাজকুমার আরও বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় উইলিয়ামের পরিবর্ত হিসাবেই তাঁর জন্ম হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার মন্দিরে ভাঙচুর, মোদিকে ‘হিটলার’ বলে দেওয়ালে স্লোগান খলিস্তানিদের]
এই বই থেকেই জানা গিয়েছে, হ্যারিকে শুধুমাত্র বাড়তি সদস্য ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারতেন না তাঁর বাবা তৃতীয় চার্লস (King Charles III)। হ্যারি বলেছেন, “উইলিয়ামের সঙ্গে একই বিমানে চলাফেরা করতে চাইতেন না আমার বাবা। তাঁর দাবি, সিংহাসনের দুই উত্তরাধিকারী একসঙ্গে যাতায়াত করা ঠিক নয়। কারণ দুর্ঘটনায় দুই উত্তরাধিকারীর মৃত্যু হলে সমস্যা বাড়বে। কিন্তু আমি কার সঙ্গে বিমানে উঠছি, তা নিয়ে বাবার কোনও চিন্তাই ছিল না। কারণ আমি কেবলই এক বাড়তি সদস্য।”
অন্যদিকে, হ্যারির আত্মজীবনী প্রকাশের আগেই একাধিক বিতর্কিত তথ্য ফাঁস হয়েছে। জানা যায়, মেগান মার্কেলের নিন্দা করে রাজকুমার হ্যারিকে মারধর করেছিলেন তাঁর দাদা উইলিয়াম। কলার চেপে ধরে তাঁকে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন দাদা উইলিয়াম, এমনটাই দাবি করেছেন হ্যারি। পাশাপাশি বাবা কিং চার্লসের (King Charles) এক ‘বদ রসিকতা’র কথাও বলেছেন তিনি। হ্যারির দাবি, সেই সময় একটা গুঞ্জন ক্রমেই বাড়ছিল যে তিনি নাকি লেডি ডায়না (Lady Diana) ও মেজর হিউইটের সন্তান! এহেন গুজব রটছিল বলেই মেজাজ হারিয়েছিলেন চার্লস।