সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ানের পর ফের চিন (China) সীমান্তে ভারতীয় সেনার উপর আক্রমণ লালফৌজের। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াংয়ের (Tawang) কাছে ইয়াংসে এলাকায় দু’দেশের সেনা সংঘর্ষে জড়ায় বলে খবর। তাতে জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন ভারতীয় সেনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে চিন সীমান্তে দেশের নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে সীমান্তে নজরদারি রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। এই অবস্থায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে বিভিন্ন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি যুদ্ধাস্ত্র। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বায়ুসেনা ঘাঁটি হাসিমারাকে (Hasimara) সতর্ক করা হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই দু’টি রাফালে (Rafale) যুদ্ধবিমান রয়েছে। তাকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ এসেছে। যে কোনও মুহূর্তে যাতে প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) চিনের হামলার খবর পেয়েই সেনার তিন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Sing)। এই হামলার পালটা কড়া জবাব কীভাবে দিতে হবে, সেই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিলেন রাজনাথ। এরপরে সংসদে বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, হামলা হলেও তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। সেরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ভারতীয় জওয়ানদের।
[আরও পড়ুন: ‘কে পাপ্পু?’, দেশের অর্থনীতি, হিমাচলে হার নিয়ে সংসদে মোদি সরকারকে কটাক্ষ মহুয়ার]
ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF)সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেখা যাচ্ছে, ভারতের সীমান্তে বেশি সংখ্যক চিনের যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছিল। ভারতের দিকে আঘাত হানতে পারে তারা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। পালটা আঘাত হানতে বারবার সীমান্তে বিমান বাহিনীর কাজের ধরনে বদল আনা হচ্ছে। এটি চিনের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করার কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে। রাফালে, সুখোইয়ের মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে অরুণাচল সীমান্তে।
[আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ইডির মামলা কত? মালা রায়ের প্রশ্নই বদলে গেল লোকসভায়!]
শুধু অরুণাচল সীমান্ত নয়, চিন লাগোয়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন করা হয়েছে যুদ্ধবিমান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অসমের তেজপুর, ছাবুয়ায় সুখোই-৩০ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা অসম সীমান্তেই মোতায়েন S-400। ২০২১ সালে ফ্রান্স থেকে ভারতে রাফালে বিমান এসেছে। যার মধ্যে দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনটি রাখার কথা ছিল উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে (Hasimara Air Base)। ভারত-চিনের মধ্যে এই সীমান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছে ২টি রাফালে বিমান। তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।