সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ (Rape) হয়েছে কিনা সেই পরীক্ষার মধ্যে এক সময় প্রচলিত থাকা ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ এদেশে নিষিদ্ধ দীর্ঘদিন। তবু এক মহিলা বায়ুসেনা অফিসারের (IAF officer) অভিযোগ, তাঁর উপরে জোর করে ওই পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৯ বছরের অফিসারের দাবি, যা তাঁর কাছে যৌন নির্যাতনের সেই ভয়ংকর স্মৃতিকেই পুনরানুভব করারই সামিল। উল্লেখ্য, এই পরীক্ষা ঘিরে অতীতেও বহু বিতর্ক হয়েছে। বলা হয়, এতে আক্রান্তের গোপনীয়তার অধিকার রক্ষিত থাকে না। তাছাড়া এটি অবৈজ্ঞানিকও। এবার ফের সেই বিতর্কই ফিরে এল ওই অফিসারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে।
তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের ওই বায়ুসেনা অফিসারের অভিযোগ, কলেজ ক্যাম্পাসে তাঁকে ধর্ষণ করেছে তাঁরই সহকর্মী। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি বায়ুসেনার কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই তাঁর রুমেই তাঁকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। ঘটনার ২ সপ্তাহ পরে ওই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় বায়ুসেনার তদন্তকারী দুই ফ্যাকাল্টির পদক্ষেপে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁকে লিখিত ভাবে অভিযোগ তুলে নিতে বলা হয়। পরে তাঁকে অভিযোগ পরিবর্তন করতেও বলা হয়। কিন্তু তিনি তা করতে রাজি হননি।
[আরও পড়ুন: গান্ধীদের নিশানা করতেই সিব্বলের বাড়ির বাইরে কংগ্রেস কর্মীদের তাণ্ডব, নিন্দা আনন্দ শর্মার]
যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বায়ুসেনা। তবে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ”পুলিশের তদন্তের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করছে বায়ুসেনা। তবে এরই সঙ্গে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তও চালানো হচ্ছে। এছাড়া এই মুহূর্তে এই নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। ”
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত ২৯ বছরের অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও তার আইনজীবীর যুক্তি ছিল, কোয়াম্বাটুর পুলিশের কোনও অধিকার নেই একজন বায়ুসেনার অফিসারকে গ্রেপ্তার করার।