সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেদকারের (Puja Khedkar) লালবাতি লাগানো বিতর্কিত সেই বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল পুনের ট্র্যাফিক পুলিশ। অন্যদিকে, কৃষককে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় পূজার মাকে নোটিস পাঠাল মহারাষ্ট্র পুলিশ। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ বিপাকে অভিযুক্ত পূজা।
২০২৩ সালের ব্যাচের শিক্ষানবিশ আমলা পূজা মহারাষ্ট্রের পুণেতে অ্যাসিসট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, তা নিচ্ছিলেন তিনি। নিজের অডি গাড়িতে লালবাতি এবং মহারাষ্ট্র সরকারের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরতেন। যদিও সেই অনুমতি নেই প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের। সেই ঘটনায় বিতর্ক চরম আকার নিতেই পূজাকে নোটিস পাঠায় পুনে ট্র্যাফিক পুলিশ। এই ঘটনার পর বিতর্কিত সেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই গাড়ির প্রয়োজনীয় নথিপত্র এখনও পুলিশের কাছে জমা দেননি পূজা। প্রসঙ্গত, পূজার বিরুদ্ধে লাগাতার ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
[আরও পড়ুন: পর পর হারে আস্থা নেই বঙ্গ বিজেপিতে, রাশ হাতে রাখবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই]
এদিকে সম্প্রতি পূজার মা মনোরমা খেদকারের হুমকি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর সেই ঘটনাতেই কড়া পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharashtra Police)। জানা গিয়েছে, বন্দুক উঁচিয়ে কৃষককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় পূজার মাকে নোটিস পাঠিয়েছে পুনের পুলিশ কমিশনার। ১০ দিনের মধ্যে এই ঘটনার নোটিসের জবাব না দিলে বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল করার পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়েরের কথা বলা হয়েছে নোটিসে। তবে শুধু বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি নয়, পূজার মায়ের বিরুদ্ধে কৃষকের জমি জোর করে দখল করারও অভিযোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বই! বিমানবন্দর, সড়কপথ জলমগ্ন, জারি কমলা সতর্কতা]
উল্লেখ্য, চাকরিতে যোগ দিয়েই ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অ্যাডিশনাল কালেক্টর অজয় মোরের অনুমোদন ছাড়াই তাঁর অফিসের আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলে অফিসের একাংশ দখল করেন তিনি। পাশাপাশি রেভিনিউ অ্যাসিসট্যান্টকে পূজা নির্দেশ দেন, লেটারহেড দিতে হবে তাঁকে। ঘরের বাইরে রাখতে হবে নেমপ্লেট। আরও জানিয়ে দেন, সিনিয়ার আধিকারিকদের মতোই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে তাঁকে। আবদারের এই ঘনঘটার মধ্যেই পূজাকে ওয়াশিম জেলায় বদলি করা হয়। অভিযুক্ত তরুণীর অবশ্যি এই বিষয়ে হেলদোল ছিল না। এর মধ্যেই জানা যায়, আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তিহীন ক্যাটেগরির সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য পূজাকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিল এইমস। করোনা মহামারীর অজুহাতে তিনি যাননি। বারবার এইমসের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, অভিযোগ ওঠে চাকরি পেতে ওবিসি ক্যাটাগরির আওতায় ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দেন তিনি। উল্লেখ্য, পূজার বাবা একজন রাজনৈতিক নেতা। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে লড়াইও করেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ইউপিএসসি পূজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে কোনওরকম সমস্যা হয়নি তাঁর।