সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও গাজায় চলছে হামাস বনাম ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এই লড়ায়েই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার নিরীহ মানুষ। এই মৃত্যুমিছিলের জন্য একমাত্র দায়ী ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও হামাসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার! এবার এই অভিযোগ তুলে নেতানিয়াহু ও সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান আইনজীবী করিম খান।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সোমবার করিম খান আদালতে বলেন, গাজার বর্তমান অবস্থা এবং একাধিক যুদ্ধাপরাধের দায় অস্বীকার করতে পারেন না নেতানিয়াহু ও সিনওয়ার। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তাঁর দাবি, "সাধারণ নাগরিকদের অনাহার, ইচ্ছাকৃতভাবে যন্ত্রণা বা গুরুতর আঘাত করা, হত্যা এই সব কিছুই আমাদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে। প্যালেস্তিনীয়দের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণ ওদের রাষ্ট্রীয় নীতি। যা আজও চলছে।" জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও ভিডিওর প্রমাণও তাঁরা সংগ্রহ করেছেন।
এদিন আইনজীবী খান সংবাদমাধ্যমে জানান, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রাক-বিচার চেম্বার ওয়ানের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করা হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের কোনও নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা কার্যত অসম্ভব। তবে পরোয়ানা জারি হলে তাঁদের বিদেশ সফরে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এমনিতেই গাজা ভূখণ্ডে চলতি লড়াই নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপ বেড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসনের উপর। তার উপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ইজরায়েল সরকারের মুখ পুড়বে। তবে এই পরোয়ানা জারি রুখতে কূটনৈতিক স্তরে তৎপর হয়ে উঠেছে ইজরায়েল সরকার।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালানোর জন্য হামাসের সামরিক শাখার কমান্ডার-ইন-চিফ মহম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি এবং হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর বিরুদ্ধে জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি। প্রসঙ্গত, আইসিসি নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত। যারা ব্যক্তিদের যুদ্ধাপরাধ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারে। যদিও এটি আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত (আইসিজে) থেকে পৃথক। আইসিজে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে মামলা বিবেচনা করে এবং বর্তমানে ইজরায়েল গাজায় গণহত্যা করেছে কি না, তার তদন্ত করছে।